রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১০ পূর্বাহ্ন

রিও ডি জেনিরোর দর্শনীয় স্থান

  • আপডেট সময় রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০২৩

ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনিরোতে চলছে অলিম্পিক গেমস। এমনিতেই ব্রাজিলিয়ানরা ফুটবলপ্রিয় জাতি। এ ছাড়া ব্রাজিলের রয়েছে ঐতিহ্যবাহী কার্নিভাল, যেখানে দেখা মেলে তাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির। এবারের রিও অলিম্পিক উপলক্ষে পাঁচ লাখেরও বেশি পর্যটক রিও ডি জেনিরো ও ব্রাজিলে এসেছেন বলে আশা করা হচ্ছে।

১০ হাজার ৫০০ অ্যাথলেট এবারের আসরে প্রতিযোগিতা করবেন। আর নিজ দেশের প্রতিযোগীদের সমর্থন জোগাতে সেখানে গিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা। অলিম্পিক গেমস দেখার পাশাপাশি পর্যটকরা রিও ডি জেনিরোর বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রও ঘুরে দেখতে পারেন। পাহাড় ও সমুদ্রে ঘেরা রিও ডি জেনিরোর মূল আকর্ষণ উঁচু পাহাড়, বোটানিক্যাল গার্ডেন, সমুদ্রসৈকত ও পাহাড় ঘেঁষে গড়ে তোলা বসতি। রিও ডি জেনিরোর দর্শনীয় স্থানগুলোর খবর জানিয়েছে টুরোপিয়া ও প্ল্যানেট ওয়্যার।

১. ক্রিস্টো রেডেনটোর ভাস্কর্য 
রিও ডি জেনিরো বলতেই এই বিশালাকৃতির ভাস্কর্যের ছবি সবার মনে ভেসে ওঠে। ভূমি থেকে দুই হাজার ৩৩০ ফুট উঁচুতে কোরকোভাডো পর্বতের চূড়ায় অবস্থিত এই ভাস্কর্যটি। এর নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৯২২ সালে আর শেষ হয় ১৯৩১ সালে। ভাস্কর্যটির নকশা করেন পোলিশ-ফ্রেঞ্চ ভাস্কর পল ল্যান্ডোস্কি। এটি নির্মাণ করেন ব্রাজিলিয়ান প্রকৌশলী হেইতর দা সিলভা কস্টা ও ফ্রেঞ্চ প্রকৌশলী আলবার্তো কাকোত। এই ভাস্কর্যটি ৩০ মিটার উঁচু ও এর দুই হাত ২৮ মিটার প্রসারিত। তিজুকা ন্যাশনাল পার্কের মধ্যে দিয়ে র্যাক রেলওয়ের মাধ্যমে এই কোরকাভাডো পর্বতের চূড়ায় পৌঁছানো যায়।

২. মারাকানা স্টেডিয়াম 
এই স্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের অলিম্পিকের উদ্বোধনী আসর। ব্রাজিলের ফুটবল উন্মাদনা অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি। ১৯৫০ সালে ব্রাজিলের রাজধানীতে তৈরি করা হয় মারাকানা স্টেডিয়ামটি। শুরুতে দুই লাখ দর্শক ধারণক্ষমতা ছিল স্টেডিয়ামটির, তবে পরবর্তীকালে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তা কমিয়ে ৮০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতায় নিয়ে আসা হয়। তারপরও দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম এটি।


৩. তিজুকা ন্যাশনাল পার্ক 
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শহুরে বন। বিশাল এলাকাজুড়ে তৈরি এই ন্যাশনাল পার্কের মধ্যে বেশকিছু পাহাড় রয়েছে। রিয়োর সর্বোচ্চ চূড়া ‘পিকো দা তিজুকা’ এই পার্কেই অবস্থিত।

৪. জারদিম বোটানিকো
এই বোটানিক্যাল গার্ডেনে রয়েছে আট হাজারেরও বেশি প্রজাতির গাছ। ছয় শতাধিক প্রজাতির অর্কিড রয়েছে এই বাগানে, যা দেখতে প্রায়ই ভিড় করেন ভ্রমণপিয়াসী ও বৃক্ষপ্রেমীরা।

৫. সুগারলোফ পর্বত
রিও ডি জেনিরোর গুআনাবারা উপকূলে অবস্থিত ১৩০০ ফুট উচ্চতার এই পর্বতের চূড়ায় পৌঁছানো যাবে ক্যাবল কারের মাধ্যমে। ব্যাবিলিয়োনা পাহাড় থেকে প্রতি ২০ মিনিট পর পর ক্যাবল কার ছেড়ে যায় চূড়ার উদ্দেশে। ব্যাবিলিয়োনা পাহাড় থেকে ‘মরো দা উরকা’ পাহাড়ে পৌঁছে দেবে একটি ক্যাবল কার। সেখান থেকে আরেকটি ক্যাবল কার নিয়ে যাবে পর্বতের চূড়ায়।

৬. ইপানেমা
রিও শহরের সবচেয়ে সুন্দর ও জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত। সব সময় এখানে ভিড় লেগেই থাকে। পর্যটকদের জন্য সৈকতের আশপাশেই রয়েছে কফি হাউস, রেস্টুরেন্ট, আর্ট গ্যালারি, সিনেমা হল ও ক্লাব।

৭. কোপাকাবানা
রিওর স্থানীয়রা এই সমুদ্রসৈকতটিকে বলে ‘কারিওকাস’। চার কিলোমিটার লম্বা এই সৈকতে সব সময়ই ফুটবল বা ভলিবল খেলা চলতেই থাকে। মানুষও সময় কাটাতে এই সৈকতে আসে। এর পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এখানে খাবার বিক্রি করে। তাই সব সময় মানুষের ভিড়ে জমজমাট থাকে এই সমুদ্রসৈকত। সৈকতের শেষ প্রান্তে রয়েছে একটি সামরিক জাদুঘর।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com