ফেসবুক রিল বা ভিডিওর সুবাদে নিশ্চয়ই প্রায়ই চীনাদের নানা খাবার আর রূপচর্চার চিত্র দেখা হয়। চীনা নারীদের সৌন্দর্য দেখে অবাক হন সবাই। টান টান উজ্জ্বল চেহারা দেখে অনেকেই এমন ত্বক পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন।
চীনাদের মতো সুন্দর ত্বক পেতে পারেন আপনিও। এজন্য মানতে হবে তাদের বিউটি সিক্রেট। কী সেগুলো? চলুন জেনে নেওয়া যাক চটজলদি-
পার্ল ফেসপ্যাক
ত্বকের দীপ্তি বাড়াতে চীনের নারীরা মুক্তার গুঁড়া ব্যবহার করেন। মুক্তার পাউডার বা গুঁড়া দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে ত্বকে লাগান তারা। এক্ষেত্রে একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পাউডার নিয়ে তার সঙ্গে মধু ও ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে তৈরি করুন ফেসপ্যাক। এটি মুখে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকের গুণে আপনার ত্বকের ফোলা ভাব এবং প্রদাহ কমবে। অন্যদিকে বাড়বে ত্বকের জেল্লা। তবে এটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। এর পরিবর্তে বাজারচলতি পার্ল ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মাসে একবার পার্ল ফেসিয়ালও করিয়ে নিতে পারেন। একই উপকার পাবেন।
গ্রিন টি
ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে চীনা নারীরা নিয়মিত গ্রিন টি পান করে। এতেই ত্বকের জেল্লা ফিরবে। শরীর থাকবে রোগমুক্ত। পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও দারুণ কাজ করে এটি। গ্রিন টি তে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-এজিং উপাদান। এটি ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না।
মিন্ট ফেসপ্যাক
ত্বকের দাগছোপ দূর করতে এই ফেসপ্যাক বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চীনা নারীরা নিয়মিত এই প্যাক ব্যবহার করেন বলেই তাদের ত্বক এত কোমল ও দাগহীন হয়। এমনটাই মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
এজন্য এক মুঠো পুদিনা পাতা নিয়ে সামান্য পরিমাণে পানি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
প্রাকৃতিক টোনার
চীনা নারীরা প্রাকৃতিক ফেসিয়াল টোনার ব্যবহার করেন। এই ধরনের টোনার ত্বকের জেল্লা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আর এই টোনার বানানো কিন্তু বেশ সোজা।
চাল ধোয়ার পর পানিটুকু ফেলে না দিয়ে একটি পাত্রে করে ফ্রিজে রাখুন। পরদিন সকালে এই চাল ধোয়া পানিতে কটন বল ভিজিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। তবে এক পানি ৩/৪ দিনের বেশি ব্যবহার করা যায় না। সবচেয়ে ভালো হয় প্রতিদিন নতুন করে এই প্রাকৃতিক টোনার তৈরি করলে।