নানা পদের নিরামিষ খাবার। রয়েছে কাঁঠালের পেস্ট্রি, বজরার পুডিং, কাশ্মীরি চা—সবই রয়েছে। আর নানা পদের এসব সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়েছে মূল্যবান সোনা-রুপার তৈরি বাটিতে।
এবার হয়তো কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন যে, এসব খাবার অবশ্যই কোনো সাধারণ আয়োজনে করা হয়নি। হ্যাঁ, বিশেষ আয়োজনেই সুস্বাদু খাবার তৈরি করে মূল্যবান বাটিতে পরিবেশন করা হয়েছে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিনের শেষে বিশ্বনেতাদের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেখানেই এসব খাবার ছিল। আয়োজনে শুধু সুস্বাদু খাবারই নয়, এ আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করেন ৭০ জনের বেশি বাদ্যযন্ত্রশিল্পী।
নৈশভোজে শরৎ ঋতুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সব ধরনের নিরামিষ খাবার রাখা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রকমারি এসব খাবারের মধ্যে বনবর্ণম নামে কাঁঠালের পদ, কারি পাতা দিয়ে তৈরি কেরালার লাল ভাত, মুম্বাই পাও, বাকরখানি নামের পদও ছিল।
এছাড়া মিষ্টিজাতীয় খাবারের মধ্যে ছিল মধুরিমা নামের বিশেষ এক পদ, যা স্বর্ণের বাটিতে পরিবেশন করা হয়েছে অতিথিদের। পানীয়ের তালিকার মধ্যে ছিল দার্জিলিং চা এবং ফিল্টার্ড কফি। আর এসব খাবার পরিবেশন করা হয়েছে সোনা-রুপার বাটিতে।
আয়োজনে আরও ছিল এলাচির গন্ধযুক্ত বাজরা (শস্য) দিয়ে তৈরি পুডিং, মাশরুমের খাবার, বিশেষ মসলায় তৈরি কাশ্মীরি কাওয়া চা।