আসন্ন সংসদের বিশেষ অধিবেশনে দেশের নাম বদলাবে নরেন্দ্র মোদী সরকার? ইন্ডিয়া বাদ দিয়ে নাম রাখা হবে শুধু ভারত? বিরোধী দল কংগ্রেসের এমন দাবি ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। এর আগে অবশ্য নাম বদল করেছে ইউরোপের একাধিক দেশ। এই আবহে প্রকাশ্যে এল সেই তালিকা।
তুরস্ক-তুর্কিয়ে
নাম বদলে ফেলা ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে প্রথমেই আসবে তুরস্ক বা তুর্কির কথা। গত বছরের জুনে জাতিসংঘকে বিষয়টি জানায় দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ার সীমান্তের এই দেশ। যার নতুন নামকরণ হয়েছে তুর্কিয়ে হিসেবে।
কিন্তু কেন হঠাৎ দেশের নাম বদলে ফেলল এককালের অটোমান সাম্রাজ্যের এই দেশ? একটি বিবৃতিতে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান। তার যুক্তি, দেশের সংস্কৃতি, সভ্যতা, মূল্যবোধকে সব থেকে ভাল ভাবে প্রকাশ করতেই তুর্কিয়ে নামটিকে গ্রহণ করা হয়েছে।
হল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস
কয়েক বছর আগে বাঁধের দেশ হল্যান্ড নাম বদল করে হয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। মাদকের রমরমা কারবার ও দেহ ব্যবসার কারণে বিগত দশকগুলিতে বিশ্ব জুড়ে এই দেশটির মারাত্মক বদনাম হয়। ডাচ সরকারের যুক্তি, এর জেরে মারাত্মক নেতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছিল। সেই কলঙ্ক মুছতেই নাম বদল বলে জানা গিয়েছে।
চেক রিপাবলিক-চেকিয়া
১৯৯৩-তে চেকোস্লোভাকিয়া ভেঙে তৈরি হয় দু’টি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র। একটি হল চেক রিপাবলিক ও অপরটি স্লোভাকিয়া। চেক ও স্লোভাক জনজাতির আলাদা আলাদা দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এই দুই রাষ্ট্র। জন্মের ২৩ বছরের মধ্যেই নতুন নাম নেয় চেক রিপাবলিক। আর সেটা হল চেকিয়া। ২০১৬ থেকে অবশ্য দু’টি নামই ব্যবহার করছে পূর্ব ইউরোপের এই দেশ।
দেশের নামবদলের কারণ হিসেবে চেক সরকারের যুক্তিটি বড় অদ্ভুত। তাদের দাবি, চেক রিপাবলিক নামটি বড় হওয়ায় তা খেলোয়াড়দের জার্সিতে লিখতে সমস্যা হচ্ছে। দেশীয় পন্যগুলির গায়েও নামটি লেখার ক্ষেত্রে অসুবিধার মুখে পড়ছে একাধিক সংস্থা। যা দূর করতে নাম বদলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ম্যাসিডোনিয়ার নাম বদল
২০১৯-এ নাম বদল হয় রিপাবলিক অব ম্যাসিডোনিয়ার। দেশটির নতুন নাম হয়েছে রিপাবলিক অফ নর্থ ম্যাসিডোনিয়া। গ্রিসের একটি এলাকার সঙ্গে দেশটির নামের মিল থাকায় তা বদল নেয় সেখানকার সরকার। তবে দেশটির বাসিন্দারা ম্যাসিডোনিয়ান হিসেবেই গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিতি পাবেন বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ