শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন

ডিস্ট্রিক্ট কুলিং সিস্টেম: যে অভিনব পদ্ধতি গরমেও সিঙ্গাপুরকে ঠান্ডা রেখেছে

  • আপডেট সময় শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের তাপমাত্রা যখন আশেপাশের অঞ্চল থেকে অনেক বেশি থাকে তখন তাপীয় মানচিত্রে তা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো মনে হয়। আধুনিক বিশ্বে শহরে অঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য গরমে মানুষের ভোগান্তিও বেড়েছে।

সিঙ্গাপুর নগরের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিষুব অঞ্চলের দেশ হওয়ায় দিনের বেলা নগরের তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়। এ শহর অতি নগরায়িত এবং অনেক উঁচু অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে এই বিষয়টি অবদান রাখছে।

তবে সিঙ্গাপুর সরকার তাপমাত্রায় নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বেশ কঠোর পদক্ষেপ হাতে নিচ্ছে। তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বড় পরিসরে গবেষণা চলছে। ২২৫ একর জায়গায় উপসাগরের তীরে একটি উদ্যান তৈরি করা হয়েছে।

এই উদ্যানের নাম দেওয়া হয়েছে ’গার্ডেন্স বাই দ্য বে’। এখানে ফ্লাওয়ার ডম নামে গ্রিনহাউজ অবস্থিত রয়েছে। এর অভ্যন্তরে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মনোরম তাপমাত্রার অনুভব করতে পারবেন। আশেপাশে ২৪টি টাওয়ারও রয়েছে।

বৃহৎ ভূগর্ভস্থ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মাধ্যমে এর পরিবেশকে ঠান্ডা রাখা হয়। পৃথিবীতে এ ধরনের ইউনিক সিস্টেম হয়তো আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। পাইপের মাধ্যমে শীতল পানি বিভিন্ন ভবনের কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্ক এ পৌঁছে দেওয়া হয়।

প্রয়োজনে মেশিনের মাধ্যমে পানি ঠান্ডা করে তা শপিংমল, আবাসিক ভবন, হাসপাতাল সহ বেসরকারি অফিস ও সব জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এটিকে ‘ডিস্ট্রিক্ট কুলিং সিস্টেম’ নাম দেওয়া হয়েছে। এয়ারকন্ডিশন থেকে এ পদ্ধতিতে চল্লিশ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়ে থাকে।

২০৩১ সালের মধ্যে দশ লাখ গাছ রোপন করার লক্ষ্য অর্জন করতে চায় সিঙ্গাপুর সরকার। শহরের তাপ কমানোর জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর এর আগে নান কৌশল হাতে নিয়ে সফল হয়েছে। দারুন বাসযোগ্য শহর নির্মাণে সিঙ্গাপুরের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com