থাইল্যান্ডের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাওয়া যাচ্ছে দেশি-বিদেশি নানা জাতের ফল। এখানে আসা পর্যটকরা অন্যান্য খাবারের তুলনায় ফল খায় বেশি বেশি। দামও নাগালের মধ্যে। এদেশের প্রতিটি সড়কের পাশে, ছোট বড় বাজারে, শপিং মলে, রেস্টুরেন্টের সামনে সুস্বাদু ফলের সমাহার চোখে পড়ার মতো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখানকার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের দেশগুলোতে রপ্তানি করছে কৃষি উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশের তুলনায় এখানে অনেকটা কম দামে এসব ফল পাওয়া যাচ্ছে।
জানা গেছে, থাইল্যান্ড একটি আশ্চর্যজনক দেশ যা তার সংস্কৃতির মৌলিকতা দিয়ে পর্যটকদের বিস্মিত করে। যা বিশ্বের ইউরোপীয় অংশ থেকে খুব আলাদা।
বছরের যে কোনো সময় এখানে নানা ধরনের ফল পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের ফলসমৃদ্ধ, যা সহজেই কেনা যায়। যে কোনো সুস্বাদু ফলের দামও নাগালের মধ্যে।
ফলগুলো হলা- ডুরিয়ান, ড্রাগন,আম, লংগান, রাম্বুটান, ম্যাঙ্গোস্টিন,কলা, পেয়ারা, লিচু, চম্পু আপের, কাঁঠাল, আবেগ ফল, পোমেলো, সালাক, ল্যাংসাট, নারিকেল, জামিন, মাফাই, নয়না, ননি, চেরিমোয়া, পেঁপেঁ, সাওতাল, তামারিলো, তরমুজ, লটকন সহ আরো হরেক রকম সুস্বাদযুক্ত ফলের সমাহার।
সব ধরনের ফল গাছের চারাও মিলছে এখানে। তবে চারার মূল্য অনেক বেশি। বাংলাদেশি টাকায় ৩০০ থেকে শুরু করে প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যেরও চারা আছে বিভিন্ন নার্সারিতে।
থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বেশি ফল বাগান ও নার্সারি আছে নারিথোয়াত রাজ্যে। সেখানকার প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ কৃষি কাজে জড়িত। ওই রাজ্যে উৎপাদিত ফল ও বিভিন্ন ফলের চারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।
থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ ফল রপ্তানির সঙ্গে জড়িত আছে অনেক বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে অন্যতম ঢাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হাসান। ব্যাংককের তালাক্ষায় উনার বিশাল ওয়ারহাউজ আছে। সেখান থেকে প্রতি সপ্তাহে তিনি দেশের ফল ও সবজি পাঠান।
মোহাম্মদ হাসান জানান, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে বাংলাদেশে থাইল্যান্ডে উৎপাদিত ফল পাঠায়। দেশে এখানকার ফলের বেশ চাহিদা আছে। নতুন নতুন উৎপাদিত ফল পাঠিয়ে ভালো লাভ হয়। তিনি আরেও জানান, প্রতি সপ্তাহে কার্গোতে ফল পাঠানো হয়। তবে কার্গো খরচ আগের থেকে বেড়ে গেছে।
ব্যাংককের ইসরাফাত এলাকায় বসবাস করা মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘থাইল্যান্ডে ভাতের প্রতি মানুষের আগ্রহ কম। কয়েকদিন একবেলা ভাত খাই।’
‘সব সময় ফল খাওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। দামও অন্যান্য খাবারের তুলনায় কম। তাছাড়া এখানকার ফলে কোনো ধরনের ফরমালিন ও কেমিক্যালও নেই।’