শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ অপরাহ্ন

জার্মানিতে নতুন অভিবাসন আইন, বাংলাদেশ থেকেও করা যাবে আবেদন

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৩

জার্মানিতে ১০ লাখের বেশি দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে৷ এই ঘাটতিপূরণে নতুন অভিবাসন আইন করা হয়, যা ১ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে৷ চাকরি পেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের জার্মানি নিয়ে আসা যাবে৷ অবশ্য সেক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের থাকা-খাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে কিনা তার প্রমাণ দিতে হবে

নতুন আইনে যা আছে

১. আগের আইনে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ডিগ্রিধারীরা জার্মানিতে চাকরির আবেদন করতে পারতেন৷ নতুন আইনে কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের জন্যও আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে৷ তবে এই প্রশিক্ষণের মেয়াদ কমপক্ষে দুইবছরের হতে হবে এবং এই ডিগ্রি জার্মান ডিগ্রির সমান বলে অনুমোদিত হতে হবে৷

২. সার্টিফিকেট ঠিক আছে কিনা তা জার্মান শ্রম মন্ত্রণালয়ের ইনফরমেশন পোর্টালে গিয়ে যাচাই করে দেখা যাবে৷ কীভাবে যাচাই করা যাবে তার ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে “মেক ইট ইন জার্মানি” ওয়েবসাইটে৷

৩. তিনমাসের মধ্যে আবেদন যাচাই প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় জার্মানি৷ এরপর চারসপ্তাহের মধ্যে ভিসা ইস্যু করা হবে৷

৪. ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে বসবাসকারীরাও জার্মানিতে চাকরির আবেদন করতে পারবেন৷ অর্থাৎ, এক্ষেত্রে আগের চেয়ে আইন সহজ করা হয়েছে৷ কারণ, আগে জার্মানি বা ইইউ’র নাগরিকরা কোনো চাকরির যোগ্য না হলেই কেবল ইইউ’র বাইরের কেউ চাকরির আবেদন করতে পারতেন৷

৫. কারিগরিশিক্ষার যে লেভেল ঠিক করা হয়েছে, তারচেয়ে কম যোগ্যরা চাকরির আবেদন করতে না পারলেও অভিবাসনের চেষ্টা করতে পারবেন৷ তবে শর্ত হচ্ছে, জার্মানির কোনো চাকরিদাতার কাছ থেকে তাদের চাকরির প্রস্তাব পেতে হবে৷ সেক্ষেত্রে চাকরিদাতাকে আবেদনকারীর জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং দুইবছরের মধ্যে তিনি যেন পেশাদার পর্যায়ের সার্টিফিকেট পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে৷

৬. যারা চাকরির সুযোগ পাবেন তাদের চারবছর কিংবা চাকরির মেয়াদ পর্যন্ত ভিসা দেওয়া হবে৷ চারবছর পর তারা স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন৷

৭. জার্মান ভাষায় “বি২ লেভেল” পর্যন্ত দক্ষতা ও নিজের খরচ বহনের সামর্থ্য থাকলে জার্মানিতে এসে চাকরি খোঁজার অনুমতিও পাওয়া যাবে৷

৮. ৪৫ বছরের বেশি বয়সি আবেদনকারীদের মাসে কমপক্ষে ৩,৬৮৫ ইউরো আয় করতে হবে৷

৯. জার্মানিতে যেসব খাতে দক্ষ জনশক্তির অভাব প্রকট, যেমন চিকিৎসা, তথ্যপ্রযুক্তি, নার্সিং, সেসব ক্ষেত্রে আইন একটু শিথিল করা হয়েছে৷ অর্থাৎ, আবেদনকারীর যদি অন্তত পাঁচবছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে জার্মান কর্তৃপক্ষের দ্বারা সার্টিফিকেট যাচাইয়ের যে শর্ত, তার আর প্রয়োজন পড়বে না৷

১০. যারা চাকরি পাবেন, তারা স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের জার্মানি নিয়ে আসতে পারবেন৷ অবশ্য সেক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের থাকা-খাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে কিনা তার প্রমাণ দিতে হবে৷

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com