নিউইয়র্ক সিটিসহ নিউইয়র্ক স্টেটের সব পাবলিক স্কুলে শিক্ষার্থীদের নানা তথ্য সংরক্ষণে এবং যাবতীয় আইডেনটিটি চেকিং কর্মসূচীতে শুরু হতে যাচ্ছে বায়োমেট্রিক ফেশিয়াল রিকগনিশন এ্যাপ ব্যবহার। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানাচ্ছে, ফেশিয়াল রিকগনিশন ক্যামেরার ব্যবহারের কারণে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সব তথ্যই আর ব্যক্তিগত থাকবে না। ফলে যদি কোনো কারণে দুর্ঘটনাবশত কম্প্যুটার সিস্টেম হ্যাকিং হয়, তাহলে এইসব শিক্ষার্থীর সব ব্যক্তিগত ড্যাটা হ্যাকারদের হাতে চলে যাবে, তখন তারা সেসব ড্যাটা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করতে পারে।
জার্নাল বলছে, বায়োমেট্রিক ড্যাটা একজন শিক্ষার্থীর পারসোনাল আইডেনটিফাইং ইনফর্মেশন। স্টেটের আইন এডুকেশন ডিপার্টমেন্টকে সেই ক্ষমতা দেয়নি যার ফলে তারা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করতে পারে। ফলে বায়োমেট্রিক ফেশিয়াল রিকগনিশন এ্যাপ ব্যবহার আইনসম্মত নয়।
এছাড়াও ফেডারেল ফ্যামিলি এডুকেশনাল রাইটস এ্যান্ড প্রাইভেসি এ্যাক্ট অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য বায়োমেট্রিক এ্যাপে দেয়ার আগে স্কুল কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে। এই ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম হলো, স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের তথ্য কন্ট্রাক্টর, কনসালট্যান্ট, ভলান্টিয়ার ও অন্য থার্ড পার্টির সাথে শেয়ার করতে পারবে কারণ তারা লেজিটিমেট এডুকেশনাল সার্ভিস প্রদান করে।
প্রাইভেসি এডভোকেসি গ্রæপও এ বিষয়ে সোচ্চার বলে লিখেছে জার্নাল। কারণ স্কুলে সেট করা সিকিউরিটি ক্যামেরায় শিক্ষার্থীদের আচরণ রেকর্ড করা হয়। এই আচরণ রেকর্ড করাও তাদের প্রাইভেসিতে আঘাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন ফেশিয়াল রিকগনিশন টেকনোলজি শুধু ছবিই তোলে না, তা তার যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করা ছাড়াও কণ্ঠস্বর রেকর্ড করে এবং হাঁটার স্টাইলও রেকর্ড করে তার অজান্তেই। আগে যেমন ফিংগারপ্রিন্ট, হ্যান্ডপ্রিন্ট গ্রহণ করা হতো, সেটা ছিল যে কারো জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ।
সিভিল রাইটস গ্রæপগুলো ফেশিয়াল রিকগনিশনের সবচেয়ে ভয়াবহ দিক সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এর ফলে গায়ের রং দেখে, এথনিসিটি, সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশন, কণ্ঠস্বর ইত্যাদি দেখে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, যে সিদ্ধান্তের কারণে একজন শিক্ষার্থীকে ভুলভাবে বহিষ্কার করা হতে পারে। ফলে ফেশিয়াল রিকগনিশন ব্যবহারের আগে শিক্ষার্থীদের পিতামাতার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।