১১ বছর বয়স থেকেই পর্নো দেখেন তিনি। অকপটে স্বীকার করলেন সাম্প্রতিক সময়ের টিন ইলেকট্রো পপ সুপারস্টার বিলি আইলিশ। আর এই অল্প বয়সে পর্নো দেখা বা পর্নো আসক্তি তাঁর মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটায় বলে দাবি করেন হালের এই সুপার সেনসেশন। তাঁর সাম্প্রতিক প্রকাশিত গান ‘মেল ফ্যান্টাসি’র প্রসঙ্গে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, গানটি একটি সত্য অভিজ্ঞতার আলোকে তৈরি করা।
মার্কিন রেডিও প্রোগ্রাম ‘দ্য হওয়ার্ড স্টার্ন শো’তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, একজন নারী হিসেবে আমি মনে করি, পর্নো একটা সম্মানহানিকর বিষয়। সত্যি কথা বলতে- আমি প্রচুর পরিমাণে পর্নো দেখতাম। এমনকি কখনো কখনো তিনি নিজেকে ওইসব এক্স-রেটেড চরিত্রে কল্পনাও করতেন।
বিলি এ সময় অল্প বয়সে প্রচুর ‘অপমানজনক’ ভিডিও দেখার কথা স্মরণ করেন। যা তার রাতের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাত এবং তিনি ভয় পেতেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি আমি এত বেশি পর্নের সংস্পর্শে এসেছি যে এটি সত্যিই আমার মস্তিষ্ককে ধ্বংস করেছে। সেই সঙ্গে আমি অবিশ্বাস্যভাবে বিধ্বস্ত বোধ করেছি।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি পর্নো মানুষের মনে বিকৃত প্রত্যাশার জন্ম দেয়। এটি আমার মতো অনেক তরুণ প্রাপ্তবয়স্ককে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলে। প্রথম কয়েকবার আমি সেক্স করেছি। এগুলো ভালো ছিল না, কিন্তু আমি এসবে না করতে পারিনি। আমি এটা করেছি কারণ আমি ভেবেছিলাম এটির প্রতি আমার আকৃষ্ট হওয়ার কথা ছিল। পর্নোর প্রতি আমার আকর্ষণ ছিল এবং আমি এটাকে ভালোবাসতাম- এটা ভেবে এখন আমার নিজের ওপর ভীষণ রাগ হয়।
পর্নো কতটা অবাস্তব তা বুঝাতে গিয়ে বিলি বলেন, নারী শরীর যেভাবে দেখানো হয়, বাস্তবে নারী শরীর এমন নয়। আমরা নারীরা এভাবে জন্ম নিইনি।
সাক্ষাৎকারের ‘নো টাইম টু ডাই’ গায়িকা মেগাস্টার হিসাবে ডেটিং করার কষ্ট ও ক্লেশ, শনিবার নাইট লাইভে তার উপস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। সেই সঙ্গে কভিড-১৯ এর সঙ্গে তাঁর যুদ্ধের কথা বলেন। সেখানে তিনি স্টার্নকে বলেন, যদি টিকা না দিতাম, আমি মারা যেতাম।
এসব কারণেই বিশ্ব বিলি আইলিশকে ভালোবাসে। ১৯ বছর বয়সেই তিনি তাঁর বিশাল প্ল্যাটফর্মটি বাস্তব জীবনের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় ব্যবহার করেছেন। যা সকলকে প্রভাবিত করে। তিনি সৎ আর এটি অনেক বয়সী পপ তারকা তাঁর কাছ থেকে শিখতে পারে।