নক্ষত্রের মতই দ্যুতি ছড়ানো এক রিসোর্ট গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে অবস্থিত নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট। যেন প্রকৃতির নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি করা হয়েছে রিসোর্টটি। এখানে যেন প্রকৃতিকে আরো কাছ থেকে উপলব্ধি করা যায়। দেশের বিশিষ্ট অভিনেতা, চিত্র পরিচালক এবং স্থপতি তৌকির আহমেদ ও তার সহধর্মিণী জনপ্রিয় অভিনেত্রী, নাট্যশিল্পী এবং চিত্রকর বিপাশা হায়াত যেন তাদের স্বপ্নকে বাস্তব রুপ দিয়েছেন এই রিসোর্টটিতে।
যান্ত্রিক ঢাকা শহরের কোলাহল থেকে দূরে এই রিসোর্টটি রংহীন জীবনে দেবে প্রশান্তি ভরা ছোট্ট একটু বিরতি। ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্টের।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী বাজার থেকে একটু দূরে চিনাশুখানিয়া গ্রামে গড়ে উঠেছে নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্টটি। রিসোর্টে ঢুকতেই রয়েছে নান্দনিক একটি হোটেল। এখানে প্রায় সব ধরনের খাবার পাওয়া যায়। রয়েছে নান্দনিক ডিজাইনে তৈরি তিনতলা একটি কনফারেন্স সেন্টার ও রেস্তোরাঁ; যার সামনেই রয়েছে আরেকটি সুইমিংপুল।
রিসোর্টটিতে আরো রয়েছে পুকুর। এসব পুকুরে হাঁস সাঁতরে বেড়ায়। হাঁস সাঁতরানো এসব পুকুরের এক পাশ ধরে সারি সারি ‘ওয়াটার কটেজ’ তৈরি করা হয়েছে। এগুলো দেখলে মনে হয় যেন পানিতেই ভেসে আছে। ছন, খেজুরপাতার পাটি আর কাঠের তৈরি এসব ঘরের ভেতর আধুনিক সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
রিসোর্টটির চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। এখানে প্রতিটি জায়গা ব্যবহার করা হয়েছে নান্দনিকভাবে। একপাশে রয়েছে ছোট্ট একটি ঝরণা, যেখানে পদ্ম আর শাপলা ফুলের সখ্যতা গড়ে উঠেছে। এখানে চাইলেই পুকুর থেকে মাছ ধরা অথবা নৌকায় চড়েও সময় কাটানো যায়। এছাড়া জোড়া পুকুরের মাঝে কাঠের সাঁকোতে দাঁড়িয়ে উপভোগ করা যায় ঝিলের জলে ফোঁটা লাল শাপলার সৌন্দর্য।
খেলাধুলার জন্য রয়েছে ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, বিলিয়ার্ড ইত্যাদির ব্যবস্থা। ক্রিকেট খেলার জন্য তৈরি হচ্ছে মাঠ। এছাড়া এখানে মাঝেমধ্যে বাউল গান, ম্যাজিক শো, চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়ে থাকে। ঢাকার শহরের খুব কাছাকাছি হওয়ায় নানান ধরণের করপোরেট মিটিং বা অনুষ্ঠানের জন্য এখানে অনেকেই আসেন। এখানে ২০০ জনের কনফারেন্স রুম যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে ২০ জনের জন্যও।
থাকার জন্য না হলেও সারাদিন কাটানোর জন্যও ঘুরে আসা যায় এই নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট অ্যান্ড কনফারেন্স সেন্টার থেকে।