বিদেশি কর্মীদের জন্য নতুন নীতি তৈরিতে বেশ কিছু পরিবর্তন করতে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি বিদেশি কর্মীদের জন্য এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা প্রকাশ করেছে দেশটি।
এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :
১) কোনো কর্মী কোরিয়ায় প্রবেশের পরে যদি কোম্পানি পরিবর্তন করতে চায়, আর সেক্ষেত্রে যদি মালিকের কোনোরকম ভুল না থাকে তাহলে মালিক কোনোরকম কোরিয়ান কর্মী নিয়োগ ছাড়াই অন্য কর্মীদের নিয়োগ করতে পারবে।
২) শ্রমিক ও মালিক উভয়পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দূর করার জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা হবে। যা মালিক-শ্রমিক উভয়ের সব ধরনের তথ্য লিপিবদ্ধ করবে। পরবর্তী সময়ে কোম্পানি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অথবা মালিক নতুন কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের কোম্পানি পরিবর্তনের পুরো ইতিহাস জানতে পারবে।
৩) জনসংখ্যা হ্রাস ও কর্মী সংকট দূর করার জন্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যেই কোম্পানি পরিবর্তনে অনুমতি থাকবে। তবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর ও কাজে দক্ষতা অর্জনের পর নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে কোম্পানি পরিবর্তন করা যাবে। সেক্ষেত্রে কোম্পানির কোনো রকম অনুমতি প্রয়োজন হবে না।
৪) দক্ষ কর্মীদের কোরিয়ায় পুনরায় প্রবেশের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিলসহ দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের একটি প্রক্রিয়া তৈরি করা।
৫) ৪ বছর ১০ মাস পর কোরিয়া ত্যাগ করলে ৬ মাস পর পুনরায় প্রবেশসহ মালিক চাইলে ১ মাস পর কোরিয়ায় প্রবেশের নিয়ম চালু করা।
৬) একই কোম্পানিতে ২ বছরের বেশি কাজ করলে এবং কাজ সম্পর্কিত দক্ষতার সার্টিফিকেট অর্জন করলে দেশে না গিয়ে একটানা ১০ বছর থাকার সুযোগ।
৭) নিজ যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী মিল রেখে চাকরি খোঁজার সুযোগ তৈরি করা।
৮) মালিক ও শ্রমিক উভয়ের সম্মতিতে ঘর ভাড়া মাসিক বেতনের ৮ থেকে ২০% পর্যন্ত নির্ধারণ।
৯) সরকারিভাবে বিদেশি কর্মীদের জন্য আবাসন তৈরি করা ইত্যাদি।