গরমের ছুটি পড়তে আর বেশিদিন সময় নেই। মে মাসের ১৫-২০ তারিখ করেই সব স্কুল কলেজে পড়ে যাবে গরমের ছুটি। এখন থেকেই তাই বেড়ানোর প্ল্যানটা সেরে রাখা ভাল। গরমের চোটে এবারে পাহাড়ে যা ভিড় হচ্ছে তাতে জনপ্রিয় কোনও জায়গায় বুকিং পাওয়া প্রায় অসম্ভভ। আশপাশের অফবিট জায়গা গুলি এবার বেড়িয়ে আলতে পারেন। এমনই একটি অফবিট জায়গা পানবু।কাঞ্জনজঙ্ঘার ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যাবে এখান থেকে।
পানবু একেবারে অজানা নাম। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকার চোট্ট একটা অনামী গ্রাম এই পানবু। খুব বেশি দূরে নয় কিন্তু। কালিম্পং থেকে ৪০ মিনিট যেতে সময় লাগবেই। অথচ সৌন্দর্যে কালিম্পংকেও টেক্কা দিতে পারে এই গ্রাম। একেবারেই নতুন জায়গা। সেকারণে পর্যটন মানচিত্রে এখন এর জায়গা হয়নি। গ্রামবাসীরাই ধীরে ধীরে সাজিয়ে তুলছে গ্রামটিকে। ছোট ছোট হোমস্টে রয়েছে গ্রামে। সেকারণে পর্যটকদের তেমন ভিড় নেই।
৩৬০ ডিগ্রি ভিউ এই পানবু গ্রাম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার সূর্যোদয় েযমন দেখা যায় তেমনই সূর্যাস্তও দেখা যায়। যাকে বলে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায় এখান থেকে। আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এমনকী কালিম্পং শহরের উপরে কাঞ্চনজঙ্ঘা কেমন লাগে দেখতে সেটা দেখা যায় এই পানবু থেকে। আর এই ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পর্যটকদের দিতে একাধিক ভিউ পয়েন্ট রয়েছে। আবার ডুয়ার্সও দেখা যায় এই পানবু থেকে। তিস্তা-ডুয়ার্স এক সারিতে পানবু একদিকে যেমন কাঞ্জনজঙ্ঘার ভিউ দেয় ঠিক তেমনই ডুয়ার্সের ভিউও দেয়।
ডুয়ার্সের জঙ্গল, শিলিগুড়ি শহর, করোনেশন ব্রিজ। তিস্তা নদীর আকাবাঁকা পথ সব দেখা যায় এই পানবু থেকে। পাহাড়ের উপর থেকে কীভাবে তিস্তা নদী সমতলে পড়েই এঁকেবেঁকে গিয়েছে সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়। আকাশ জুড়ে পাহাড়। তারসঙ্গে সবুজ জঙ্গল। পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হাঁটতেই মন ভাল হয়ে যাবে। স্পষ্ট তিস্তার ছবি পানবু থেকে একেবারে স্পষ্ট দেখা যায় তিস্তা নদীর বয়ে চলা। পাহাড় থেকে কীভাবে সমতলে পড়েই ছড়িয়ে গিয়েছে তিস্তা নদী সেটা স্পষ্ট দেখা যায় পানবু থেকে। যাঁরা পানবুতে থাকবেন ভাবছেন তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে একাধিক হোমস্টে। আবার কালিম্পং থেকে সাইড সিইংয়ের জন্যও পানবু আলতে পারেন। একটা দিন বেশ অন্যরকম অভিজ্ঞতা হবে। তবে পানবুতে থাকলে সূর্যদয় এবং সূর্যাস্ত দেখা যাবে না।