রোববার ফ্রান্স সীমান্তবর্তী রাইনস্টেটেনে এক অনুষ্ঠানে তিনি নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন৷
সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট চ্যান্সেলর জানান, ১৫ থেকে ২০ বছর আগে জার্মানির অনেক অঞ্চলে বেকারত্বের হার উচ্চ ছিল৷ কিন্তু এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছেন বলেও জানান তিনি৷
তিনি বলেন, ‘‘বেবি বুমার ইয়ারের (১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ সালে জন্ম নেয়া মানুষ) অনেকে এখন অবসরে যাচ্ছেন৷ আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে তাদের অভাবে যাতে দেশে শ্রম ঘাটতি তৈরি না হয়৷’’
শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র বাড়িয়ে এবং শিশুদের যত্ন সহকারে বেড়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করে, এই সংকট নিরসনে সরকার কাজ করছে বলে জানান শলৎস৷ তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু এতেও আমাদের ঘাটতি পূরণ হবে না৷ ফলে আমাদের প্রয়োজনেই অন্য দেশ থেকেও নারী এবং পুরুষদের আমাদের নিয়ে আসতে হবে৷’’
জনবল কোথা থেকে এসেছেন এটি নিয়ে চিন্তিত না হয়ে, জনশক্তি হিসেবে যারা জার্মান শ্রমবাজারে যুক্ত হয়েছেন তারা কী অবদান রাখতে পারেন কিংবা তারা কী অর্জন করতে পারেন সেদিকেই নজর দেয়া উচিত বলে মনে করেন জার্মান সরকারপ্রধান৷
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দেশের এই মনোভাবটি প্রয়োজন৷’’
জার্মান সরকার অভিবাসী কর্মীদের জন্য বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক অভিবাসন আইনের খসড়া তৈরি করছে বলেও জানান ওলাফ শলৎস৷ এর মধ্য দিয়ে জার্মানির বৃহৎ থেকে মাঝারি পর্যায়ের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হবে বলেও জানান তিনি৷