মরুদ্যানের নদীতে চমৎকার! লুনি নদী রাজস্থানের মানুষের একমাত্র ভরসা। বছরের পর বছর জল থাকে না পশ্চিম ভারতের এই নদীতে। চার বছর পর আবার জল এল সেই মরা গাঙে। আর তাতেই অত্যন্ত খুশি বারমেরর বাসিন্দারা। চাষীদের পরিবারে যেন অকাল উৎসবের আবহ। শুকনো নদীর জলস্তর বাড়তেই উচ্ছ্বসিত রাজস্থানের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ।
এই লুনি নদীটি বালোতরা-বারমেরের মোট ১২টি গ্রামের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে। নদীর দুই পাড়ের এলাকা দোফসলি। এই গ্রামগুলিতে কয়েক হাজার পাতকুয়ো রয়েছে। নদীতে জল আসতেই এলাকার কৃষকরা রবি শস্য অর্থাৎ গম, জিরে, সরষে ইত্যাদি ফসল ফলানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
কেবলমাত্র চাষাবাদই নয়, লুনি নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা পান করার জন্য জল পাচ্ছেন।
এর আগে ২০১৯ সালে লুনি নদীতে জলস্তর বেশ কিছুটা বেড়েছিল। কিন্তু, তারপর চার বছর জলের চিহ্নমাত্র পাওয়া যায়নি। পূর্বে দীর্ঘ কয়েক বছর মরুভূমিতে ঘেরা এই গ্রামগুলির মানুষ এই লুনি নদীর উপরই নির্ভরশীল ছিলেন। কিন্তু, ধীরে ধীরে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে লুনি নদীতে জলস্তরে কমে যেতে শুরু করে।
৩০৮ মাইল ব্যাপী এই নদী রাজস্থানের বহু এলাকাকে শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করছে। বহু জনপদকে এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে এই নদী। উত্তর পশ্চিম ভারতের মরু অঞ্চলের সবচেয়ে বড় নদী এটি। এই নদীর জলের লবণাক্ত স্বাদের জন্য লুনিকে লবণবতী নামেও ডাকা হয়ে থাকে। আবার এই লুনি নদী তার গতিপথের একটি জায়গায় সাগরমতী নামেও পরিচিত। লুনি নদীর জলের স্বাদ নোনতা। নদীটি যখন বালোতরা এলাকা দিয়ে বয়ে যায় তখন তার স্বাদ নোনতা হয়ে যায়। কারণ বালোতরা এলাকার মাটিতে প্রবল লবণাক্ত ভাব রয়েছে।