গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো:
- ফেডারেল সরকার মাইগ্রেশান ক্যাপ বাড়িয়ে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার করার ঘোষণা দিয়েছে
- সারা দেশে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে রয়েছে দক্ষ কর্মী সংকট
- দুটি স্টেট এবারে অনশোর ও অফশোর আবেদনকারীদের নতুন করে আবেদন জমা দিতে আহবান জানিয়েছে
এ বছর আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ভিক্টোরিয়া ও কুইন্সল্যান্ডে স্কিলড মাইগ্রেশান প্রোগ্রাম পুনরায় চালু করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায় সম্প্রতি বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কোভিড মহামারীর ফলে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ থাকাসহ অন্যান্য কারণে অভিবাসী কম আসায় এই ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষ জনশক্তির এই ঘাটতি পূরণে ফেডারেল ও স্টেট সরকার বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে, স্কিলড মাইগ্রেশান প্রোগ্রাম তার ভেতরে অন্যতম।
এদিকে ফেডারেল সরকার সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে আরও বেশি অভিবাসী আনার লক্ষ্যে মাইগ্রেশান ক্যাপ বাড়ানো হবে এ বছর। আগের ১ লক্ষ ৬০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার বাড়িয়ে এ বছর এটি ১ লক্ষ ৯৫ হাজার করা হবে।
অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি স্টেটও দক্ষ জনশক্তি বাড়ানোর জন্যে উদ্যোগী হয়েছে। ভিক্টোরিয়া ও কুইন্সল্যান্ড তার মধ্যে অন্যতম।
ভিক্টোরিয়ায় মূলত দুটি সাবক্লাস ১৯০ ও ৪৯১ -এর জন্যে রেজিস্ট্রেশান অব ইন্টারেস্ট বা ROI আহবান করা হচ্ছে।
গত বছরের আবেদনকারী যারা সফল হননি, তাঁদেরও নতুন করে আবেদন করতে বলা হচ্ছে।
অপরদিকে কুইন্সল্যান্ডে এই বছরের জন্যে নতুন করে আবেদন বা এক্সপ্রেশান অব ইন্টারেস্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
মেলবোর্ন ভিত্তিক মাইগ্রেশান এজেন্ট মিজ প্রিয়াঙ্কা সাহা।
ভ্যানটেজ এডুকেশান অ্যান্ড মাইগ্রেশান ওয়ার্লওয়াইড মেলবোর্নের একটি তালিকাভুক্ত মাইগ্রেশান এজেন্সি। সেখানে কর্মরত মাইগ্রেশান এজেন্ট প্রিয়াঙ্কা সাহা জানিয়েছেন, এ বছর অনশোর ছাড়াও অফশোর থেকেও আবেদন করা যাবে।
ভিক্টোরিয়ায় ১৯০ ভিসা সাবক্লাসের আওতায় এ বছর ৯ হাজার আবেদনকারীকে স্টেট নমিনেশান দেয়া হবে।
মিজ প্রিয়াঙ্কা বলেন, আবেদনকারীদের স্টেট ভিত্তিক বিভিন্ন ‘ক্রাইটেরিয়া’ পূরণ করতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে বয়স-সীমা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতা।
আবেদন করার আগে প্রতিটি স্টেটের অকুপেশান লিস্ট ভাল করে দেখে নিতে বলেছেন প্রিয়াঙ্কা সাহা।
তিনি বলেন, ভিক্টোরিয়ায় আগেরবারের চেয়ে নিয়মে কিছুটা বদল আনা হয়েছে, যেমন টার্গেট সেক্টরে কাজ করার বাধ্যবাধকতা এবারে শিথিল করা হয়েছে।