বাংলাদেশের অকৃত্রিম এক বন্ধু রাশিয়া। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে দুদেশের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ায় বৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেয়ে থাকেন বাংলাদেশের শিক্ষারর্থীরা। স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য এই বৃত্তি প্রদান করে রাশান সরকার। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়ার উচ্চশিক্ষা পিছিয়ে নেই। বিশ্বমানের অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি নিয়ে দেশটিতে পড়ার সুযোগ আছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের।
রাশিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্য শাখার সব বিষয়ে পড়া সম্ভব। দেশটিতে স্নাতক ডিগ্রির মেয়াদ চার বছর, মাস্টার্স ডিগ্রির মেয়াদ দুই বছর, বিশেষায়িত ডিপ্লোমার মেয়াদ পাঁচ-ছয় বছর। তবে শুরুতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে রুশ ভাষা শিখতে হবে। সাধারণত তারা নিজেদের ভাষায় পড়ালেখা করার সুযোগ দিয়ে থাকে। আগে থেকে রুশ ভাষায় পারদর্শী হয়ে থাকলে তো কথাই নেই। সুযোগ তবে আপনার জন্য সবার আগে। রাশিয়ায় পড়তে হলে আইইএলটিএস স্কোর প্রয়োজন হয় না। তবে যদি কারো আইইএলটিএস করে থাকলে ভালো কাজে লাগবে।
যেভাবে আবেদন করবেন:
প্রতি বছর রাশিয়া বাংলাদেশ থেকে স্নাতক, মাস্টার্স ও পিএইচডিতে ৬৫-৭০টি বৃত্তি প্রদান করে থাকে। ২০২১ সালের বৃত্তির আবেনদ ঘোষণা করা হয়েছে সম্প্রতি। আবেদন করা যাবে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত।
ঢাকার রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের শিক্ষা বিভাগ থেকে রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ থেকে ৫ টা পর্যন্ত এই আবেদনের সকল নিয়মাবলী সম্পর্কে জানা যাবে। অনলাইনে আবেদন করার ঠিকানা (https://future-in-russia.com)।
আবেদন সম্পূর্ণ হলে অনলাইন আবেদনের কপি সহ সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের অ্যাটাস্টেট ফটোকপি ও পাসপোর্ট কপি রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রে জমা দিতে হবে। জমা দেয়ার আগে শিক্ষাবোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সকল সনদপত্র ও নম্বরপত্র সত্যায়িত করে নিতে হবে।
এই বৃত্তিতে কী কী সুবিধা?
সাধারণত রাশান সরকারের বৃত্তি ইউরোপের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বৃত্তির মতো সবকিছু প্রদান করে না। এই বৃত্তিতে যেসব সুবিধা পাওয়া যায় তাহলো-
১.টিউশন ফি ফ্রি প্রদান করা হয়
২.মাসিক বৃত্তি যা দিবে তা দিয়ে হোস্টেল ফি হয়ে যায়
৩.খাবার খরচ নিজের বহন করতে হবে
৪.মাসিক খরচ ১০০-২৫০ ডলার
৫.কাজ করে নিজের খরচ চালানো সম্ভব না দেশ হতে টাকা নিয়ে নিজের খরচ চালাতে হবে