দেশের অভ্যন্তরে আকাশপথে ভ্রমণ করের আওতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। একই সঙ্গে বিদেশগামী বিমানাযাত্রীদের কর ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ ভ্রমণ কর আরোপের প্রস্তাব তুলেন।
ডলার সাশ্রয়ের জন্য অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ হ্রাস করা, কৃচ্ছ্রতার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং নতুন রাজস্ব আয়ের খাত তৈরি করতে এই প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আকাশপথে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে যাত্রীদের ২০০ টাকা ভ্রমণ কর দিতে হবে।
অর্থমস্ত্রী প্রস্তাবে বলা হয়, বিমানে এক জেলা থেকে অন্য জেলা ভ্রমণে দিতে হবে কর। প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশ যেতে স্থলপথের কর ৫০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা এবং নৌপথের কর ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বর্তমানে আকাশপথে সার্কভুক্ত দেশ ভ্রমণে ১২০০ টাকা কর দিতে হয়। সেটা বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা করা হয়েছে। আর অন্য দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভ্রমণকারীকে তিন হাজার টাকা কর গুণতে হয়। এটি বাড়িয়ে চার হাজার টাকা করা হয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের ৯ মাসে অর্থাৎ মার্চ পর্যন্ত ভ্রমণ কর আদায় ৯৪ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৬৯ কোটি টাকা হয়েছে। যা চলতি অর্থবছরে কর কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। তবে, উড়োজাহাজ ভ্রমণ সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য জানা যায়নি।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫০ লাখ যাত্রী উড়োজাহাজে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন, যা আগের বছরের ২০ লাখের চেয়ে ১৪৫ শতাংশ বেশি।
২০২২ সালে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণকারীর সংখ্যা ২০২১ সালের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেড়ে সাড়ে ৫০ লাখ হয়েছে।