রাস্তার দু’ধারে পেঁজা তুলোর মত ছড়িয়ে আছে বরফ। বাড়ির ছাদে, দোকানের ছাদে পাতা রয়েছে বরফের চাদর। বেলচা, কুড়াল হাতে চলছে বরফ সাফাইয়ের কাজ। সারি সারি পাইনের জঙ্গল জুড়ে বিছানো তুষার-বিছানা। ছোট ছোট বরফের চাঁই নিয়ে স্কুলের পথে যাওয়া কিছু কিশোর-কিশোরী নিজেদের মধ্যে খেলা করছে। কেউ বা আনমনে মুখে পুড়ছে বরফের টুকরো। না এ দৃশ্যপট সুইৎজ়ারল্যাণ্ডের নয়। এ আমাদেরই হিমাচলপ্রদেশ। ঝকঝকে রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিনে বরফময় রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে স্কুলের ভূগোল ক্লাসের কথা খুব মনে পড়ছিল। ভারতের ভূপ্রকৃতি পড়াতে পড়াতে ভূগোলের শর্মিষ্ঠাদি ভীষণ আপ্লুত হয়ে পড়তেন। বারবার বলতেন ভারতবর্ষ হচ্ছে পৃথিবীর ক্ষুদ্র সংস্করণ। এই ভারতভূমিতেই ধরা আছে সমস্ত পৃথিবীর ভূমিরূপ। পরিষ্কার ঝকঝকে নীল আকাশ আর তারই নীচে তুষার-শুভ্র রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছি, সঙ্গী হিমেল বাতাস। মনে হলো, এ অনন্ত চলাই হোক জীবন। যাবতীয় তুচ্ছতা, দৈনন্দিন চাওয়া-পাওয়া- সবকিছু অতিক্রম করে এই হেঁটে চলা হয়ে উঠুক এতটাই সার্থক আর সম্পূর্ণ যেন এরপর মৃত্যু এলেও আর কোন আফশোস না থাকে।
বরফ দেখতে ডিসেম্বরে গিয়েছিলাম মানালিতে। আমাদের যাওয়ার আগে মানালিতে বরফ পড়ার খবর বিভিন্ন সংবাদ-পত্রে লেখা হচ্ছিল। যে বরফ দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে যাত্রীরা ছুটে আসে, সেই বরফই হিমাচল-প্রদেশে বিপর্যয়ের কারণ হয়েছিল। কুফ্রিতে প্রবল তুষারপাতের দরুণ প্রচুর যাত্রী আটকে পড়েন। আটচল্লিশ ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎহীন থাকে কুফরি, মানালি সহ হিমাচল প্রদেশের কয়েকটি অঞ্চল। না এই খবর দেখে ঘাবড়াইনি। যদি একান্তই রাস্তা বন্ধ থাকে তাহলে ভ্রমণ বাতিল করে দেব তবে অন্য কোথাও যাব না – এই স্থির করে অপেক্ষা করেছিলাম যাত্রার আগে পর্যন্ত। ভাগ্যদেবী অত্যন্ত সুপ্রসন্ন আমাদের উপর। তাই শেষমেশে রাস্তাও খুলে যায়। শুধু আমার অত্যন্ত প্রিয় রোটাংপাসের রাস্তা বন্ধ ছিল। বরফ পড়ে রাস্তা বন্ধ। তাই রোটাংপাস অধরা রইল এ যাত্রায়। দুধের সাধ ঘোলে মেটাতে গেলাম সোলাং-ভ্যালি। নিরাশ হই নি। সোলাং আসলে একটা ঢালু তৃণভূমি। প্রায় ৪-৫ ইঞ্চি পুরু বরফের আস্তরণে এই ঢালু জমি এমন ভাবে ঢেকে আছে যেন মনে হচ্ছে বরফের পাহাড়। বরফের ঢাল বেয়ে যত উপরে ওঠা যায় ততই মনোরম লাগে চারপাশ। পাইন আর দেবদারুর মাথা ঢেকে আছে বরফে।
প্রকৃতির এই অপরূপ দানকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তৈরি তাদের পসরা নিয়ে। স্কী, স্কী-ডাইভিং, স্কী-ডু(স্নো-স্কুটার), প্যারাগ্লাইডিং আরও যতরকম কৃত্রিম উপায় এই বরফের আনন্দ নেওয়া যায় সবই মজুত। কিছু অল্প-বয়সী স্থানীয় যুবকের একঘেয়ে নাছোড়বান্দা কেশর-শিলাজিৎ কেনার অনুরোধে ভ্রমণার্থীরা ঈষৎ বিরক্ত। তবে ওদেরও দোষ দেওয়া যায় না। প্রবল তুষারপাতের দরুণ এবার বরফ দেখতে আসা যাত্রীর সংখ্যা অনেক কম। ভ্রমণকেন্দ্রিক সব ধরনের আনুষঙ্গীক ব্যবসা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ভ্রমণ শিল্পের আখেরে ক্ষতি হচ্ছে কিনা অথবা প্রকৃতির স্নিগ্ধতা এতে কতটা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এবং সে বিষয় প্রশাসনের কী ভূমিকা থাকতে পারে সে কথাও ভাবার বিষয়।
‘মধুর তোমার শেষ যে না পাই’— এই আর্ট গ্যালারি দেখে এ কথাই মনে আসে। রাস্তার দুধারে পাইনের জঙ্গল পাশে রেখে পাহাড়ি ঢালু রাস্তা বেয়ে যখন রোয়েরিক আর্ট-গ্যালারির কম্পাউণ্ডে ঢুকলাম তখন আমি স্তব্ধ, বাক্যহারা। পাইন আর পাহাড়ি ফুলের বাগান ঘেরা এই ছবির মত পরিবেশ আর্ট-গ্যালারির জন্য একদম উপযুক্ত।
এই আর্ট-গ্যালারি একসময় বিখ্যাত রাশিয়ান চিত্রকর নিকোলাস রোয়েরিক (জন্ম- ৯ অক্টোবর ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দ, রাশিয়ার সেণ্ট-পিটার্সবার্গ, মৃত্যু- ১৩ ডিসেম্বর ১৯৪৭ সাল, নাগার, হিমাচলপ্রদেশ, ভারতবর্ষ) সাহেবের বাসভবন ছিল। রোয়েরিক সাহেব ১৯১৭-র রুশ বিপ্লবের পর ভারতবর্ষে চলে আসেন। হিমাচলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ রোয়েরিক এখানেই তাঁর বাসস্থান নির্মাণ করেন এবং এখানেই আমৃত্যু বসবাস করেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র স্যাভিটোস্ল্যাভ এই বাসস্থানকে রোয়েরিক আর্ট-গ্যালারিতে রূপান্তরিত করেন। স্যাভিটোস্ল্যাভ নিজেও ছবি আঁকতেন। স্যাভিটোস্ল্যাভ বিবাহ করেন রবীন্দ্রনাথের প্রপৌত্রী ও তদানীন্তন বোম্বাই-এর জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নায়িকা দেবীকা রাণিকে। নিকোলাস রোয়েরিকের এই বাসভবনে তাঁর সাথে দেখা করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সকন্যা জওহরলাল নেহেরু প্রমুখ ব্যক্তিত্ব এসেছিলেন। বর্তমানে এই হেরিটেজ মিউজিয়াম পরিচালনার দায়িত্ব ইন্দো-রাশিয়ান ট্রাস্টের উপর।
রোয়েরিক সাহেব হিমাচলের অপরূপ সৌন্দর্য্য তাঁর তুলির ছোঁয়ায় ধরে রেখেছেন। শিল্পীর আঁকা কুলু, লাহুল, স্পিতি প্রভৃতি অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অসাধরন ছবি এই গ্যালারির অমূল্য সম্পদ। রোয়েরিক সাহেবের আঁকা ছবি ছাড়াও তাঁর কিছু ফোটোগ্রাফও আর্ট-গ্যালারিতে সংরক্ষিত আছে। জওহরলাল নেহেরু ও ইন্দিরা গাঁন্ধির সাথে তোলা তাঁর একটি ফোটোগ্রাফও রয়েছে। আর আছে কিছু ক্রীস্টাল, যেগুলো তিনি হিমাচলের বিভিন্ন পাহাড় থেকে কুঁড়িয়ে পেয়েছিলেন।
আর্ট-গ্যালারি ছাড়াও রয়েছে স্যাভিটোস্ল্যাভের একটা ফটো-স্টুডিও। এই ফটো-স্টুডিও জুড়ে এই শিল্পী দম্পতির নানা স্মৃতি ছড়ানো। যার মধ্যে রয়েছে স্যাভিটোস্ল্যাভ আর দেবীকা-রাণি রোয়েরিকের কিছু ফোটোগ্রাফ, স্যাভিটোস্ল্যাভের আঁকা কিছু ছবি। গ্যালারির কাঠের সিঁড়ি দিয়ে দোতালায় উঠলে একটা চওড়া বারান্দা আর কয়েকটা বন্ধ ঘর দেখা যায়। এই ঘর গুলোর দরজা বন্ধ থাকলেও জানালা খোলা। ভ্রমণার্থীরা জানালা দিয়ে রোয়েরিক বাসভবনের অংশ-বিশেষ দেখতে পাবেন। এই স্মৃতি টুকরোর মধ্যে রয়েছে নিকোলাস রোয়েরিকের আরাম-কেদারা, দেবীকা-রাণির সংগৃহীত কিছু বই।
রোয়েরিক আর্ট-গ্যালারি থেকে মিনিট-পাঁচেক (গাড়িতে) দূরত্বে রয়েছে এই কাসল্। বিয়াস নদীর ধারে, ১৮৫১ মিটার উঁচু নাগার গ্রামটি ছিল কুলু রাজাদের রাজধানী। আনুমানিক ১৪৬০ খ্রীষ্টাব্দে কুলু রাজা সিধ সিং এই কাসল্টি নির্মাণ করেন। তাঁরই বংশের আর-এক অনুজ রাজা জ্ঞান সিং সামান্য একটা বন্দুকের বিনিময় এই কাসল্টি বিক্রি করে দেন ভারতবর্ষের প্রথম ব্রিটিশ কমিশনার মেজর-হে-র কাছে। এই ক্যাসেলের দেওয়াল পাথরের, কড়িবরগায় কাঠের বীম আর কাঠের সিলিং। পাথর আর কাঠের সংমিশ্রণে তৈরি এই কাসল্ স্থাপত্য-কলার এক অনন্য নির্দশন। মেজর-হে-র কল্যাণে এখানে ফায়ার-প্লেস, চিমনি, কাঠের সিঁড়ি, সোফাসেট প্রভৃতি পাশ্চাত্য উপকরণের সমন্বয়ে এক অপরূপ ইন্দো-ইউরোপীয়ান পরবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
ক্যাসেলের কাঠের ঝুলন্ত বারান্দায় দাঁড়ালে গোটা মানালির এক অসাধারণ ব্যালকনিক ভিউ পাওয়া যায়। দূরে পাহাড় আর তার নীচে ছোটো-ছোটো পাহাড়ি গ্রাম, বিয়াস নদী যেন কোন দক্ষ শিল্পীর আঁকা ছবি। ক্যাসেলের নীচের তলায় একটা ছোট আর্ট মিউজিয়াম আছে। ক্যাসেলের উঠোনে ‘জগতি-পাট’ নামে একটা মন্দির আছে। মন্দিরের ইতিহাস ক্যাসেলের প্রবেশদ্বারে লেখা আছে। পাথর আর কাঠের সমন্বয় তৈরি এই মন্দির ক্যাসেলের সৌন্দর্য আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। পাথর আর কাঠের সমন্বয় এই বিশেষ ধরনের স্থাপত্যকলাকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘ক্যাথকোনি’।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ১৯৭৮ খ্রীষ্টাব্দে নাগার কাসল্ হস্তান্তরিত করা হয় HPTDC –কে। বর্তমানে এই কাসল্ হিমাচল-প্রদেশ-টুরিজ়ম-ডেভলপমেন্ট-করপোরেশন(HPTDC)-র একটি হোটেল। মধুচন্দ্রিমা যাপনের জন্য এই কাসল্ হোটেল এক আদর্শ স্থান। কাসল্ হোটেলের আর-এক বৈশিষ্ট্য হল এখানে পরিবেশিত খাবার। অসাধরন সুস্বাদু ট্রাউট কারি ( অর্থাৎ ট্রাঊট মাছের ঝোল)-এর উল্লেখ না করলেই নয়।
আঁকা-বাঁকা সর্পিল পাহাড়ি পথ। সরু রাস্তার একদিকে পাহাড়। সেই পাহাড়ে ধাপে ধাপে আপেলের বাগান আর পাইনের জঙ্গল। রাস্তার আর একদিকে কোথাও গভীর, কোথাও বা অগভীর খাদ।
ভাল করে ঝুঁকে দেখলে বিয়াস নদী দেখা যায়। কোথাও আবার ছবির মত সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম পিছনে ফেলে আমাদের গাড়ি এগিয়ে চলেছে জানা জলপ্রপাতের দিকে। রাস্তা এতটাই সরু যে বিপরীত দিক থেকে একটা গাড়ি এলে অন্যদিকের গাড়িকে দাঁড়িয়ে যেতে হয়। নাগার ক্যাস্টেল থেকে জানা জলপ্রপাত যেতে গাড়িতে সময় লাগে প্রায় ৪৫ মিনিট। এইটুকু সময় গাড়ি থেকে পথের যে নৈসর্গিক শোভা দেখা যায় তা অবর্ণনীয়। এক অসাধারণ শ্বাসরোধকারী সৌন্দর্য্যের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে গেলাম জানা জলপ্রপাতের দিকে।
বরফের উপর দিয়ে খুবই সন্তর্পণে এগিয়ে চলেছি। প্রবল শীতে জলপ্রপাতের তেজ কিছু বা কম। ছোট্ট একটা কাঠের সাঁকো পেরিয়ে জলপ্রপাতের সামনে গেলাম। চারিদিকে বরফ, মাঝে পাহাড়ি ঝরণা। এই অপূর্ব নিস্তব্ধ সুন্দরের মাঝে জলপ্রপাতের অবিরাম শব্দ এক অপরূপ সঙ্গীত লহরীর সৃষ্টি করেছে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে আর-এক অসাধরন প্রাপ্তির উল্লেখ না করলে এই জায়গাটার বর্ণনাই অসমাপ্ত থেকে যায়। তা হল এখানকার অত্যন্ত সুস্বাদু স্থানীয় খাবার। স্থানীয় কিছু মানুষ এই জলপ্রপাতের কাছাকাছি ধাবা তৈরি করে অপেক্ষা করে থাকে পর্যটকদের জন্য। তাঁদের আতিথেয়তা মনে করিয়ে দেয় আমাদের চিরকালীন ব্রত ‘অতিথি দেব ভব’। খুবই সুস্বাদু স্থানীয় খাবার একেবারে গরম গরম পরিবেশন করা হয়। এই হাঁড়-হিম করা ঠাণ্ডায় গরম গরম সিড্ডু (এক ধরনের স্থানীয় মোমো), জাট্টু রাইস(স্থানীয় লাল চালের ভাত), ক্ষেতের সর্ষে শাক, মকাই-এর রুটি, রাজমা, ক্ষেতের আপেল আর ধনেপাতার চাটনি, পায়েস(ক্ষীর), দেশী ঘি আর ঘরে তৈরি গুড় দিয়ে অবর্ণনীয় সুস্বাদু লাঞ্চ সারলাম।
মণিরাম ঠাকুরের ধাবায় বসে তাঁর স্ত্রী নয়না ঠাকুরের পরিবেশন করা ঘি দেওয়া গরম গরম মকাইয়ের রুটি আর সর্ষে শাক মুখে পুড়ে মনে হচ্ছিল বুঝিবা ইহজগতে নেই। পায়ের তলায় বরফ, পিছনে গুঁড়িগুড়ি জলপ্রপাতের শব্দ, যে দিকে তাকাই সে দিকেই বরফ আর পাতে স্থানীয় মানুষজনের তৈরি অসাধরন দেশী খাবার, তাঁদের উষ্ণ আন্তরিকতা – এ বোধহয় শুধু ভারতবর্ষেই সম্ভব। ‘অবিশ্বাস্য ভারত’ (‘Incredible India’)-কে অনুভব করলাম এখানে এসে। জীবনান্দের ভাষা ধার করে একটু মিশেল দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে- ভারতের রূপ আমি দেখিয়াছি তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর।
দিল্লী থেকে মানালির দূরত্ব ৫৭০ কিমি। চণ্ডীগড় থেকে মানালির দূরত্ব ৩৬০ কিমি। কলকাতা থেকে চণ্ডীগড় বা দিল্লীতে এসে হিমাচল প্রদেশ স্টেট টুরিজ়মের ভলভোতে করে মানালি যাওয়া যায়। এছাড়া, নিউদিল্লীর ইন্দিরা-গান্ধী ইন্ট্যারন্যাশনাল বিমানবন্দর থেকে বিমানে করে ভুন্তুর এয়ারপোর্টে নেমে ট্যাক্সি করেও মানালি যাওয়া যায়।
জানা, নাগার যাওয়ার গাড়ি মানালি হিমাচল টুরিজ়মের ট্যাক্সি-স্ট্যাণ্ড থেকেই পাওয়া যাবে।
বছরের যে কোন সময়ই মানালি যাওয়া যায়। গ্রীষ্মের মানালি মনোরম। বর্ষায় কবিতার মাধুর্য মিশে থাকে এই শৈলনগরীতে। শীতে, বরফে মোড়া মানালি অপরূপ।
ওল্ড মানালি, নিউ মানালিতে প্রচুর হোটেল রয়েছে। সার্কিট হাউস, হোটেল বিয়াস – এই দুই সরকারি গেস্ট হাউস রয়েছে। আমার পছন্দের দু’টো হোটেলের কথা জানালাম।