1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
ঘুরে আসুন গাবরাখালী
শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

ঘুরে আসুন গাবরাখালী

  • আপডেট সময় রবিবার, ৬ জুন, ২০২১

প্রকৃতির টানে শহরের কোলাহল ছেড়ে মানুষ ছুটে যায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার গাবরাখালী গারো পাহাড়ের সৌন্দর্যে হারিয়ে যেতে। সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উঁচু নীল তুরা পাহাড় থেকে পাখিদের সঙ্গে উড়ে আসে সাদা সাদা মেঘ। এপারে ছোট বড় পাহাড়গুলোর গাছে গাছে কাঠ বিড়ালীর ছোটাছুটি, অনেক সময় গাছের উঁচু ডালে দৃষ্টি আটকে যাবে, দেখা মিলবে লজ্জাবতী বানর। পাহাড়ের মাঝে মনোরম লেক দেখে হয়তো দুপুরের রোদে ঘামে ভেজা শরীরকে শীতল করতে মন চাইবে। অপরূপ সৌন্দর্য এভাবেই আকৃষ্ট করে সবাইকে গাবরাখালী গারো পাহাড়ের সৌন্দর্যে।

হালুয়াঘাট পৌরশহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে মেঘালয় রাজ্যের সিমান্তঘেঁষা গাবরাখালী পাহাড়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম গাবরাখালীতে পর্যটন কেন্দ্র করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে তা কিছুটা বিলম্বিত হয়। তবে ২০২০ সালের মাঝামাঝি এসে এটি গতি পায়, যা বর্তমানে একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে বিধিনিষেধ সত্ত্বেও এই ঈদ ও ঈদের পরের দুই দিনে এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রায় ১১ হাজার দর্শনার্থী ঘুরে গেছেন বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

পর্যটন কেন্দ্রকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য প্রবেশ মুখেই রয়েছে সুউচ্চ পাহাড় থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ জলের মনোরম ঝর্ণধারা। পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া লেকে রয়েছে ঝুলন্ত ব্রিজ, লেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য প্যাডেল বোটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। লেকজুড়েই দেখা মিলবে দেশীয় হাঁসের কোলাহল। এই লেকেই স্থানীয় এলাকাবাসীর আয় বাড়ানোর জন্য মৎস্য চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে মনোরম রেস্ট হাউস। এ ছাড়াও বিশ্রামের জন্য গারো ভাষায় জারামবং (পূর্ণিমা) ও ফ্রিংতাল (শুকতারা) নামে দুটি বিশ্রামাগার রয়েছে।

পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পাহাড়ে রোপণ করা হয়েছে কাজুবাদাম, আগর (সুগন্ধি), চা, কফি গাছ। পাহাড়ের টিলায় উঠার জন্য করা হয়েছে স্টিলের সিঁড়ি, গাড়ি রাখার জন্য রয়েছে গাড়ি পার্কিং জোন। পাহাড়ের কিনার বেয়ে ভারত থেকে বয়ে আসা ছোট ঝর্ণা ধারায় রাবার ড্যাম দিয়ে পানি সংরক্ষণ করে বোরো মৌসুমে সেচ দেওয়া হয়। টিলায় বসবাসরত স্যাটেলারদের জন্য উপজেলা প্রশাসন আশ্রয়ণের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সমবায়ের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার জন্যও গৃহীত হচ্ছে আয়বর্ধক কর্মকাণ্ড, পাশাপাশি স্থানীয় বেকার যুবকদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজের আওতায় আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই পর্যটন কেন্দ্রটি ঘিরে বিভিন্ন দোকানের পশরা সাজিয়ে বসেছেন স্থানীয়রা। দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে এখানে প্রধান ফটক, সুইমিং পুল, ওয়াচ টাওয়ার, শিশু পার্ক, তথ্য কেন্দ্র, মিনি চিড়িয়াখানা ইত্যাদির কাজ চলমান রয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com