চট্টগ্রামের পারকি সমুদ্র সৈকত-এর কথা হয়তো অনেকেরই জানা।চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে আনোয়ারার পারকি সমুদ্র সৈকত অবস্থিত। স্থানীয়দের ভাষায় এটি ‘পারকির চর’। এই সৈকত কর্ণফুলীর মোহনায় হলেও এর বিস্তৃতি দক্ষিণে শঙ্খ নদীর মোহনা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার।
একদিকে ঝাউ বনের সবুজের সমারোহ, আরেকদিকে নীলাভ সমুদ্রের বিস্তৃত জলরাশি আপনাকে স্বাগত জানাবে।আর সমুদ্র তীরের মৃদুমন্দ বাতাস আপনার মনকে আনন্দে পরিপূর্ণ করে দেবে নিমেষেই। সমুদ্র সৈকতের সাথেই ঝাউবনের ছায়াতলে গড়ে উঠেছে খাবারের দোকানসহ অনেক দোকান-পাট।
এছাড়া রয়েছে সমুদ্রে ঘুরে বেড়ানোর জন্য স্পিডবোট, সমুদ্র তীরেই ঘুরে বেড়ানোর জন্য সি-বাইক আর ঘোড়া।এজন্য অবশ্য আপনাকে নির্দিষ্ট ভাড়া গুনতে হবে ঘণ্টাপ্রতি হিসেবে। ঝাউবন ঘেঁষে উত্তর দিক বরাবর হেঁটে গেলে দেখতে পাবেন বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদীর মোহনা।
চট্টগ্রাম শহরের যেকোনো স্থান থেকেই বাস অথবা টেম্পুতে করে চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতু বা তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর কাছে যেতে পারেন।সেখানে গেলেই আপনি বটতলী মহসিন আউলিয়ার মাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখবেন। পারকি বিচে যেতে হলে আপনাকে বটতলী মহসিন আউলিয়া মাজারগামী বাসে উঠতে হবে।
বাসে উঠে কন্ডাক্টরকে বলতে হবে যেন আপনাকে ‘সেন্টার’ নামক স্থানে নামিয়ে দেয়।জায়গাটির প্রকৃত নাম মালখান বাজার, তবে এটি সেন্টার নামেই পরিচিত। এতটুকু পর্যন্ত আসতে বাসে জনপ্রতি ২৫-৩০ টাকা করে নেবে। সেন্টারে নেমে বিচে যাবার জন্য সিএনজি পাবেন। রিজার্ভ করলে ১০০-১৫০ টাকাতেই পৌঁছে দেবে পারকি সমুদ্র সৈকতে।
বিচে যাবার আগে খাবার-বারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সেন্টার বাজার কিংবা কিছুটা দূরেই চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার হাউজিং কলোনিসংলগ্ন বাজার থেকে নিয়ে নিতে পারেন।