শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন

মাল্টা

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৫ মে, ২০২৩

মাল্টা ইউরোপের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। মাল্টার সরকারি নাম রিপাবলিক অব মাল্টা। পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দ্বীপের একটি এই মাল্টা। মাল্টা একটি ছোট দেশ কিন্তু অসাধারন সুন্দর একটি দেশ। দেশটি মেডিটেরিয়ান সাগরে অবস্থিত। এই দেশটি মোট পাচঁটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। পাচঁটি দ্বীপের মধ্যে তিনটি বড় দ্বীপ মাল্টা, গেজো ও কমিনোতে জনবসতি আছে। ভূমধ্য সাগরে অবস্থানের কারনে ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিকভাবে এর গুরুত্ব অপরিসীম। দেশটি অতীতের অনেক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের স্বাক্ষর বহন করে চলেছে।

প্রাচীনকাল থেকেই ভৌগলিক অবস্থানের কারনে মাল্টা একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ছিল। দেশটি বহিঃশত্রæ দ্বারা বারবার আক্রান্ত হয়েছে। ইউনিশিয়ানস্ রোমান, বাইজানটাইন, এমনকি আরবরাও এ দেশটিতে তাদের পদচিহ্ন রেখে গেছে। পরবর্তীতে দেশটি ব্রিটিশদের করায়ত্ব হয়। দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ব্রিটিশকে জর্জ উপহার দেন মাল্টা। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে মাল্টার স্বাধীনতা বিল পাশ হয় ১৯৬৪ সালে। বৃটেন থেকে স্বাধীনাত লাভের পর থেকে এটি স্টেট অব মাল্টা নামে পরিচিত ছিল। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন রাষ্ট্রটির প্রধান। ১৯৭৪ সালে দেশটি রিপাবলিক অব মাল্টা নামে আত্মপ্রকাশ করে।

২০০৪ সালে দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হয়। মাল্টার পতাকায় ১২টি স্টার দ্বারা পরিবেষ্টিত। ৩১৬ বর্গ কিলোমিটার এই দেশটিতে মোট ৪ লাখ ৭৫ হাজার মানুষের বসবাস। দেশটির সরকারি ভাষা মাল্টি ও ইংরেজী। তবে দেশটিতে ইটালিয়ান ভাষাও প্রচলিত। দেশটিরপ্রধান ধর্ম হচ্ছে খ্রিষ্টধর্ম। মাল্টার রাজধানী ভ্যাল্লেটা এবং দেশটির বৃহত্তম শহর সেন্ট পলস বে।

দেশটিতে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু বিদ্যমান। দেশটিতে গড়ে তাপমাত্রা থাকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। প্রায় সাড়ে ৪০০ বছর আগে ভ্যাল্লেটার গোড়াপত্যন ঘটে। গ্রান্ড মাস্টার জ্যঁ পারিজা দে লা ভ্যালেটার নামে শহরটির নামকরন করা হয়। এই শহরের প্রধান আকর্ষন দ্যা গ্রান্ড মাস্টার প্যালেস। এটি নগরীর সবচেয়ে পুরোনো এবং সুন্দর প্রাসাদগুলোর একটি। বর্তমানে প্রাসাদটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয় হিসাবে ব্যবহৃত হয়। প্রাসাদটি পর্যটকদের দেখার জন্য উন্মুক্ত। এই প্রাসাদের ব কাছেই রয়েছে রিপাবলিক স্কোয়ার। এখানে সারা বছর পর্যটকরা ভীড় করে। অনেক দূর্গ, র্জা এবং প্রাসাদ রয়েছে এখানে। ইউনেস্কো বিশ^ ঐতিহ্যের সাইট হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে এই দেশটিকে।

মাল্টার উপকূলে ছোট্ট দ্বীপ কোজো। ফেরিযোগে যেতে হয় কোজোতে। কোজোতে রয়েছে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। এখানে রয়েছে কয়েকটি দর্শনীয় গীর্জা, ঐতিহাসিক স্থাপনা সহ দীগন্ত বিস্তৃত সবুজের সমারোহ। দ্বীপটির ছোট্ট একটি পাহাড়ের উপর দাড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাচীন গ্রাম। গ্রামের অধিকাংশ অধিবাসিরা মৎস্য সম্প্রদায়ের মানুষ। সমুদ্র থেকে মৎস্য সংগ্রহ করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। দ্বীপটির তেমন কোন উন্নয়ন না হলেও প্রাচীন স্থাপনা পর্যটকদের মুগ্ধ করে। শান্ত নিরিবিলি ছুটি কাটানোর জন্য অনেকে দ্বীপটি পছন্দ করেন। এখানকার রামল সমুদ্রে অনেকে সাতার কাটতে এবং সার্ফিং করতে পছন্দ করেন।

মাল্টার একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান রাবাত। অতীতে এটি ছিল রোমান্স সিটি অব মাল্টা। এখন এটি দেশের প্রধান  কেন্দ্র।
এখানে রয়েছে সেন্ট পলস্ নামে একটি ঐতিহাসিক গির্জা। বড় সুন্দর আর মনোরম এই গির্জাটি। রাবাতের আরো একটি আকর্ষন সেন্ট পলস্কাটাবাম। এটি ৫০০ বছর পুরনো একটি কবরস্থান।

ছোট দেশ হলেও বøুলেগুন নদীর শীপ প্রধান আকর্ষন। মাল্টার সেরা সমুদ্র সৈকত হচ্ছে এই বøুলেগুন। বালুকাময় দ্বীপ আর স্বচ্ছ নীল জলের জন্য সৈকতটি পর্যটকদের কাছে খুবই প্রিয়। সৈকতটিতে সার্ফিং এবং স্কুবা ডাইভিং এর জন্য আদর্শ স্থান। সেজন্য এখানে পর্যটকদের ভীড় লেগেই থাকে। জায়গাটি পাখিদের জন্য অভয়ারন্য। এই দ্বীপে গাড়ী চলাচলের কোন ব্যবস্থা নেই। তাই এখানে কোন রাস্তা নাই। পায়ে হেটে দ্বীপটিতে ঘুড়ে বেড়াতে হয়।

দেশটিতে আরো একটি নিদর্শন হচ্ছে চার্চ অব সেন্ট মেরি। এটি একটি বৃহৎ গির্জা। সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ মাল্টা। তূলা এবং তামাক এখানে রপ্তানিযোগ্য পন্য।

দেশটির সরকারি মুদ্রা ইউরো। দেশটির মোট জিডিপি ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাথাপিছু আয় প্রায় ১৫ হাজার মার্কিন ডলার। সাংস্কৃতি আর ঐতিহ্যমন্ডিত দেশ মাল্টা। পর্যটন শিল্পে একটি বড় ধরনের স্থান দখল করে আছে দেশটি। উষ্ণ আবহাওয়া, ঐতিহাসিক নানা স্থাপনা এবং স্থাপত্যের না নিদর্শন আছে এখানে। তাই পর্যটগদের ভীষন পছন্দ দ্বীপটি।

মাল্টা মাল্টা ইউরোপের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। মাল্টার সরকারি নাম রিপাবলিক অব মাল্টা। পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দ্বীপের একটি এই মাল্টা। মাল্টা একটি ছোট দেশ কিন্তু অসাধারন সুন্দর একটি দেশ। দেশটি মেডিটেরিয়ান সাগরে অবস্থিত। এই দেশটি মোট পাচঁটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। পাচঁটি দ্বীপের মধ্যে তিনটি বড় দ্বীপ মাল্টা, গেজো ও কমিনোতে জনবসতি আছে। ভূমধ্য সাগরে অবস্থানের কারনে ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিকভাবে এর গুরুত্ব অপরিসীম। দেশটি অতীতের অনেক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের স্বাক্ষর বহন করে চলেছে।

প্রাচীনকাল থেকেই ভৌগলিক অবস্থানের কারনে মাল্টা একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ছিল। দেশটি বহিঃশত্র দ্বারা বারবার আক্রান্ত হয়েছে। ইউনিশিয়ানস্ রোমান, বাইজানটাইন, এমনকি আরবরাও এ দেশটিতে তাদের পদচিহ্ন রেখে গেছে। পরবর্তীতে দেশটি ব্রিটিশদের করায়ত্ব হয়। দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ব্রিটিশকে জর্জ উপহার দেন মাল্টা। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে মাল্টার স্বাধীনতা বিল পাশ হয় ১৯৬৪ সালে। বৃটেন থেকে স্বাধীনাত লাভের পর থেকে এটি স্টেট অব মাল্টা নামে পরিচিত ছিল। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন রাষ্ট্রটির প্রধান। ১৯৭৪ সালে দেশটি রিপাবলিক অব মাল্টা নামে আত্মপ্রকাশ করে।

২০০৪ সালে দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হয়। মাল্টার পতাকায় ১২টি স্টার দ্বারা পরিবেষ্টিত। ৩১৬ বর্গ কিলোমিটার এই দেশটিতে মোট ৪ লাখ ৭৫ হাজার মানুষের বসবাস। দেশটির সরকারি ভাষা মাল্টি ও ইংরেজী। তবে দেশটিতে ইটালিয়ান ভাষাও প্রচলিত। দেশটির প্রধান ধর্ম হচ্ছে খ্রিষ্টধর্ম। মাল্টার রাজধানী ভ্যাল্লেটা এবং দেশটির বৃহত্তম শহর সেন্ট পলস বে।

দেশটিতে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু বিদ্যমান। দেশটিতে গড়ে তাপমাত্রা থাকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।প্রায় সাড়ে ৪০০ বছর আগে ভ্যাল্লেটার গোড়াপত্যন ঘটে। গ্রান্ড মাস্টার জ্যঁ পারিজা দে লা ভ্যালেটার নামে শহরটির নামকরন করা হয়। এই শহরের প্রধান আকর্ষন দ্যা গ্রান্ড মাস্টার প্যালেস। এটি নগরীর সবচেয়ে পুরোনো এবং সুন্দর প্রাসাদগুলোর একটি। বর্তমানে প্রাসাদটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয় হিসাবে ব্যবহৃত হয়। প্রাসাদটি পর্যটকদের দেখার জন্য উন্মুক্ত। এই প্রাসাদেরখুব কাছেই রয়েছে রিপাবলিক স্কোয়ার। এখানে সারা বছর পর্যটকরা ভীড় করে। অনেক দূর্গ, গীর্জা এবং প্রাসাদ রয়েছে এখানে। ইউনেস্কো বিশ^ ঐতিহ্যের সাইট হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে এই দেশটিকে।

মাল্টার উপকূলে ছোট্ট দ্বীপ কোজো। ফেরিযোগে যেতে হয় কোজোতে। কোজোতে রয়েছে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। এখানে রয়েছে কয়েকটি দর্শনীয় গীর্জা, ঐতিহাসিক স্থাপনা সহ দীগন্ত বিস্তৃত সবুজের সমারোহ। দ্বীপটির ছোট্ট একটি পাহাড়ের উপর দাড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাচীন গ্রাম। গ্রামের অধিকাংশ অধিবাসিরা মৎস্য সম্প্রদায়ের মানুষ। সমুদ্র থেকে মৎস্য সংগ্রহ করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। দ্বীপটির তেমন কোন উন্নয়ন না হলেও প্রাচীন স্থাপনা পর্যটকদের মুগ্ধ করে।

শান্ত নিরিবিলি ছুটি কাটানোর জন্য অনেকে দ্বীপটি পছন্দ করেন। এখানকার রামল সমুদ্রে অনেকে সাতার কাটতে এবং সার্ফিং করতে পছন্দ করেন। মাল্টার একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান রাবাত। অতীতে এটি ছিল রোমান্স সিটি অব মাল্টা। এখন এটি দেশের প্রধান বানিজ্যিক কেন্দ্র। এখানে রয়েছে সেন্ট পলস্ নামে একটি ঐতিহাসিক গির্জা। বড় সুন্দর আর মনোরম এই গির্জাটি।রাবাতের আরো একটি আকর্ষন সেন্ট পলস্কাটাবাম। এটি ৫০০ বছর পুরনো একটি কবরস্থান।

ছোট দেশ হলেও বøুলেগুন নদীর শীপ প্রধান আকর্ষন। মাল্টার সেরা সমুদ্র সৈকত হচ্ছে এই বøুলেগুন। বালুকাময় দ্বীপ আর স্বচ্ছ নীল জলের জন্য সৈকতটি পর্যটকদের কাছে খুবই প্রিয়। সৈকতটিতে সার্ফিং এবং স্কুবা ডাইভিং এর জন্য আদর্শ স্থান। সেজন্য এখানে পর্যটকদের ভীড় লেগেই থাকে। জায়গাটি পাখিদের জন্য অভয়ারন্য। এই দ্বীপে গাড়ী চলাচলের কোন ব্যবস্থা নেই। তাই এখানে কোন রাস্তা নাই। পায়ে হেটে দ্বীপটিতে ঘুড়ে বেড়াতে হয়।

দেশটিতে আরো একটি নিদর্শন হচ্ছে চার্চ অব সেন্ট মেরি। এটি একটি বৃহৎ গির্জা। সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ মাল্টা। তূলা এবং তামাক এখানে রপ্তানিযোগ্য পন্য।

দেশটির সরকারি মুদ্রা ইউরো। দেশটির মোট জিডিপি ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাথাপিছু আয় প্রায় ১৫ হাজার মার্কিন ডলার। সাংস্কৃতি আর ঐতিহ্যমন্ডিত দেশ মাল্টা। পর্যটন শিল্পে একটি বড় ধরনের স্থান দখল করে আছে দেশটি। উষ্ণ আবহাওয়া, ঐতিহাসিক নানা স্থাপনা এবং স্থাপত্যের নানা নিদর্শন আছে এখানে। তাই পর্যটগদের ভীষন পছন্দ দ্বীপটি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com