‘জওয়ান’, ‘আদিপুরুষ’ থেকে বলিউডে মু্ক্তির অপেক্ষারত তাবড় ছবিকে প্রায় কুপোকাত করে দিয়েছে যে ছবি, তার পরিচালক বাঙালি। ছবির নাম ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। এই ছবি ঘিরে দেশ জুড়ে বির্তক তুঙ্গে। কেরলের হিন্দু ও খ্রিস্টান মেয়েদের ইসলামে ধর্মান্তকরণ এবং আইসিস-এ যোগদান করানোর কাহিনী এই ছবিতে তুলে ধরেছেন সুদীপ্ত। ইতিমধ্যেই এই ছবির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বামশাসিত কেরল। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এক বিবৃতিতে স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে দিতে এই ধরনের ছবি তৈরি হয়েছে। রীতিমতো সঙ্ঘের দিকে আঙুল তুলে বিজয়ন বলেছেন এটি একটি প্রচারসর্বস্ব (প্রোপাগান্ডা) ছবি। প্রায় ১০টির বেশি পরিবর্তন করে মুক্তির ছাড়পত্র পেয়েছে এই ছবি।
যে ছবি ঘিরে উত্তাল দেশ এ বার সেই ছবির প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমার ছবি মানুষের কষ্টের কথা বলবে, দীর্ঘ সময় ধরে রিসার্চ করে বানানো ছবিটা। আমি কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে এই ছবি বানিয়েছি। আমি কেন প্রচারমূলক ছবি করব? এই ছবি তিন মেয়ের গল্প বলবে। যার মধ্যে এক জন এখনও আফগানিস্তানের জেলে বন্দি। অন্য জন আত্মহত্যা করেছে, বিচারেরর অপেক্ষায় তাঁর মা-বাবা। অন্য আর এক মেয়ে এখন গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে যাকে ক্রমাগত ধর্ষণ করা হয়েছে। ব্যস, আমার ছবির গল্প এতটুকুই। এখানেই না থেমে সুদীপ্ত বলেন, ‘‘আমার এই ছবি সন্ত্রাসবাদের বিরোধী। আমি বুঝতে পারছি না সন্ত্রাসের বিরোধী হওয়া কি অপরাধ? আমি কখনই বলিনি কেরলে যে সব মেয়েদের ধর্মান্তর করা হচ্ছে তাঁরা আইসিস-এ যোগ দিচ্ছে। আমার প্রশ্ন, মেয়েগুলো একেবারে উবে যাচ্ছে কী ভাবে?’’
ছবির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরও। সমাজমাধ্যমের পাতায় তিনি লেখেন, “এ আপনাদের কেরল স্টোরি হতে পারে, আমাদের নয়।” আগামী ৫ই মে হিন্দির পাশাপাশি তামিল, তেলুগু, মালয়ালম ভাষায় মুক্তি পাবে এই ছবি। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সোনিয়া বালানি এবং সিদ্ধি ইদনানি।