Honeymoon Destinations এক জন নতুন মানুষের সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায়ের অন্য এক অনুভূতি। আর তারই প্রস্তুতি পর্ব হল মধুচন্দ্রিমা। কিন্তু একে অপরকে চেনার, জানার ও নিজেদের মুহূর্তগুলিকে স্মরণীয় করে তোলার জন্য কোথায় যাবেন তা ঠিক করাই হয়ে ওঠে বেশ কঠিন কাজ।আর বিয়ে যখন হচ্ছে তখন হানিমুন তো হবেই। আর এই হানিমুন করতে অনেকেই আজকাল বিদেশে যেতে চাইছেন। কিন্তু হানিমুনের জন্য কোথায় যাওয়া যায় তা নিয়ে অনেক আলাপ আলোচনার পরও সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারেন না নবদম্পতিরা। তাঁদের সুবিধার জন্যই কয়েকটি বিদেশি হানিমুন স্পটের হদিশ দিল টোটো কোম্পানি।
গরমে ভারতীয় কাপলদের আদর্শ পর্যটনক্ষেত্র ইন্দোনেশিয়ার বালি। এখানকার আনাচ কানাচে যেন রয়েছে মধুচন্দ্রিমার হাতছানি। অনেকেই মজা করে বলেন যে বালির পর্যটন সাজানোই হয়েছে হানিমুন কাপলদের কথা ভেবে। বেড়ানো শুরু করবেন উবুদ থেকে। তারপর সোজা চলে যান উলুওয়াতু। মধুচন্দ্রিমার জন্য সেরা জায়গা বালির স্থানটি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের কোনও তুলনা হয় না। শুধু হানিমুনই নয় ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর স্থান হিসেবেও এই উলুওয়াতু বেশ জনপ্রিয়। এখানে গেলে অবশ্যই এখানকার বিখ্যাত মন্দির দর্শন করবেন। এখানকার বিখ্যাত পাডাং পাডাং বিচে শনিবার করে নাইট পার্টির আয়োজন করা হয়। এই পার্টি কিন্তু একদম মিস করবেন না। বালির এই হানিমুন ডেস্টিনেশনটি তুলনামূলক সস্তা। এছাড়াও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরা মাউন্ট বাতুর, ক্যাঙ্গু বিচ, একাধিক মন্দির, বোটানিক্যাল গার্ডেন, চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, চকোলেট কারখানা এবং শাড়ির বাজারে ঢুঁ দিতেও ভুলবেন না যেন।
হানিমুন করার জন্য আদর্শ স্থান হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকাও। এখানকার অরণ্যে ভ্রমণ কিংবা লং ড্রাইভে ঘোরার কোনও তুলনা হয় না। যে সব দম্পতি অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন তাঁদের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা আদর্শ। ভারত এবং আটলান্টিক মহাসাগরের মিলনস্থলে রয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের এই দক্ষিণতম স্থানটি। নিরিবিলিতে একে অপরের সঙ্গে সময় কাটান নিশ্চিন্তে। মহাসাগরপারে প্রিয় মানুষটিকে সঙ্গে নিয়ে রোম্যান্টিক সন্ধ্যা কাটানোর কোনও তুলনা হয় না।
বিশ্বের সুন্দরী এবং অত্যাধুনিক শহরগুলির মধ্যে অন্যতম দুবাই। আর হানিমুন করার আদর্শ স্থান। অপূর্ব সুন্দর এই শহর ঘুরতে দিন কয়েক হাতে রাখতে হবে। হানিমুন কাপলদের কথা ভেবেই হয়তো দুবাই খাঁড়িটি সেজেগুজে বসে আছে। এর ধারে বসে রোম্যান্টি ডিনারের কোনও তুলনাই হয় না। দেখে নিন বিখ্যাত বুর্জ খলিফা। প্রিয় সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেস্তোরাঁয়। এখানকার ওয়াটার পার্ক, ফ্লাওয়ার পার্ক, জলের নীচের চিড়িয়াখানা ইত্যাদির কোনও তুলনা হয় না। এখানকার সোনার বাজারে গেলে তাক লেগে যাবে।