বিশ্বের অন্য অনেক দেশের চেয়ে ভ্রমণের জন্য জাপান এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ একটি রাষ্ট্র। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং উন্নত জীবনযাপন পদ্ধতির কারণে এটি অনন্য এক দেশ।
নিজেদের ইতিহাস আর ঐতিহ্য বেশ যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করছে এ দেশটি। এ কারণে এখানকার বিভিন্ন প্রদেশে হাজারো বছরের পুরনো মন্দির, ভবন দেখা যায় আজও। জাপানের প্রকৃতি তার অফুরন্ত ভাণ্ডার সাজিয়ে রেখেছে পর্যটকদের জন্য। এখানকার প্রকৃতি দেখতে আর ঐহিত্য জানতে প্রতি বছরই জাপানে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন।
যারা বৈচিত্রময় খাবার পছন্দ করেন তাদের জন্য জাপান আদর্শ একটি স্থান। ভাত থেকে শুরু করে এখানে বিভিন্ন স্বাদের খাবার পাওয়া যায়। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ, সবজি, নানারকম ফল আর ভিনেগার দেওয়া ভাত দিয়ে তৈরি খাবার ‘সুশি’ অনেক দেশের মানুষের কাছেই প্রিয়।
গোটা জাপান জুড়েই এপ্রিল থেকে মে মাসে চেরি ফুল ফোটে। এসময় পথ ছেয়ে যায় এ ফুলে। যারা ফুল ভালোবাসেন তারা এ সময়ে যেতে পারেন জাপানে। তখন জাপান সেজে ওঠে অনন্য এক সাজে।
যারা অ্যানিমেশন মুভি দেখতে পছন্দ করেন জাপান তাদের জন্য সেরা। এখানকার ক্যাফেটেরিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে অ্যানিমেশনের চরিত্রগুলো আঁকা দেখা যায়। এছাড়া রাজধানী টোকিওতে আছে অ্যানিমেশন সেন্টার। চাইলে সেখানেও ঘুরতে যেতে পারেন।
বন আর প্রকৃতির জন্য জাপানের আলাদা সুখ্যাতি আছে। গোটা দেশে ৬২ টি বন রয়েছে। প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে কিংবা মেডিটেশন করতে নিশ্চিন্তে যেতে পারেন এসব বনে।
জাপানে হাজারো বছরের পুরনো সব বাগান রয়েছে।বর্তমানে সে গুলোতে আধুনিকতার ছাপ আনা হয়েছে।
জাপানে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় ধানের। ওই দেশের প্রায় সব প্রদেশে ধানের চাষ হয়। এছাড়া উচ্চ ফলনশীল ফল এবং মাংসও উৎপাদন হয় বিভিন্ন ফার্মে। এ কারণে জাপানে কৃষিভিত্তিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্থানে।
জাপানে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন ধরনের উৎসবের আয়োজন করা হয। প্রায় সারা বছরই স্থানীয়রা নানা ধরনের উৎসবে মেতে থাকে। কোনো দেব-দেবীর উদ্দেশে, বিভিন্ন মৌসুমে. কখনও বা ঐতিহাসিক কোনো কারণে তারা উৎসব উদযাপন করে। কোনো কোনো উৎসব কয়েকদিন ধরে চলে।
জাপান ভ্রমণের সবচেয়ে সেরা সময় মার্চ থেকে মে কিংবা সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর। কারণ ওই সময়ে জাপানের তাপমাত্রা মাঝারি থাকে, বৃষ্টিপাতও কম হয়।