মাত্র কয়েক সেকেন্ডে এলিভেটর পৌঁছে দিল সাংহাই টাওয়ারের ১১৮তম ফ্লোরে। কী আশ্চর্য! কোনও কোলাহল নেই। বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম অবজ়ারভেটরি ডেকের ও পারে ৩৬০ ডিগ্রি সাংহাই, আর আমরা দেশি-বিদেশি মিলে শ’দুয়েক পর্যটক। দূরে দাঁড়িয়ে শহরও যেন আমাদের দেখছে। সূর্য যখন টাওয়ারকে স্পর্শ করে, তখন তার আর এক রূপ। আর রাতের রঙিন আলোয় সে হয়ে ওঠে আরও মায়াবী।
উড়ানে আমার মতো নিঃসঙ্গ যাত্রীর দিকে তাকিয়ে যে ছেলেমেয়ের দল চোখ কপালে তুলেছিল, তাদের সঙ্গেই ফের দেখা সাংহাই টাওয়ারে। একলা পথে হাঁটতে হাঁটতে একাত্ম হয়ে গেলাম ওদের সঙ্গেই। ওরা কথা বলছে ম্যান্ডারিনে, আমি ইংরেজিতে। কিন্তু ভাব-ভঙ্গিতে মনের আদান-প্রদানে অসুবিধেই হল না। সফরের শুরু এমনই সুন্দর। অনেকটা সময় ছিলাম ওখানে। সূর্য তখন অস্তাচলে, এক দিকে দিনের আলো কমে আসছে, আবার অন্য দিকে একটি একটি করে জ্বলে উঠছে কৃত্রিম আলো। এই সন্ধিক্ষণই টাওয়ারের ইউএসপি। নেমে আসার পরে মনে হচ্ছিল, এ যেন সারা জীবনের সঞ্চয়।
সফর শুরু বেজিং থেকে। হাইস্পিড ট্রেনে। সে এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। বেজিং থেকে ঘণ্টায় ৩৪০ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলছে ট্রেন। ঝড়ের মতো মিলিয়ে যাচ্ছে গ্রাম, বাড়ি, পাহাড়, টানেল, ঝর্না। ১২০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ পেরোতে সময় লাগল পাঁচ ঘণ্টা! এখানকার রেলস্টেশন আমাদের দেশের যে কোনও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে পারে। প্রতি রেলস্টেশনের সঙ্গেই রয়েছে মেট্রোর যোগ।