আপনি যদি ভ্রমণ প্রিয় হয়ে থাকেন এবং নতুন অভিজ্ঞতার স্পর্শ নিতে চান তাহলে আপনার জন্য ভিয়েতনাম হতে পারে দুর্দান্ত এক গন্তব্য। সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু করে সুস্বাদু খাবার এবং প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য ভিয়েতনামের তুলনা হয় না। তবে ভিয়েতনাম ভ্রমনের আগে আপনাকে ভিয়েতনাম টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং পলিসি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
ভিসা পাবার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই ভিসা অনুমোদনের পত্রের (visa approval letter) জন্য অগ্রিম আবেদন করতে হবে এবং এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর পরে পাসপোর্টে সরকারী ভিসা স্ট্যাম্প গ্রহণ করতে হবে। এই পদ্ধতিকে ভিসা অন এরাইভাল পদ্ধতি বলা হয়ে থাকে। ভিসা অনুমোদন পত্র পাবার জন্য আপানি অনলাইনে আবেদন করতে পারেন অথবা কোন ট্র্যাভেল এজেন্টের সহায়তা নিতে পারেন। এক্ষেত্রে ট্র্যাভেল এজেন্টের সহায়তা নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক অন এরাইভাল ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্টের প্রয়োজন পরবে
১. পাসপোর্ট
নূন্যতম ৬ মাস মেয়েদ সম্পন্ন একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে।
অনেক সময় দেখা যায় আপনি যেদিন ভিসার জন্য পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন ঠিক সেদিন থেকে পাসপোর্টের মেয়াদ ৬ মাস থাকে ফলে ভিসা পেতে পেতে আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ ৬ মাস থেকে কমে যায়, এমন হলে অনেক সময় এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন সমস্যা করে। সে ক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ ৬ মাস থেকে কিছুদিন বেশি থাকলে খুবই ভালো হয় যেন ভিসা পাওয়ার পরও পাসপোর্টের মেয়াদ ৬ মাস থাকে।
পাসপোর্টে অবশ্যই অন্তত দুটি পাতা ফাঁকা থাকতে হবে যাতে করে ভিসা স্টিকার এবং ইমিগ্রেশন ষ্ট্যাম্প ওই পাতাতে দেয়া যায়। সেই সাথে সকল পুরাতন পাসপোর্টও জমা দিতে হবে।
২. ছবি
২ কপি ল্যাব প্রিন্ট ছবি (সাইজ হবে ৪ সে.মি X ৬ সে.মি) জমা দিতে হবে।
ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড হবে সাদা। অন্য ব্যাকগ্রাউন্ড, ছবির সঠিক মাপ এবং ৩ মাসের আগে তোলা ছবি গ্রহনযোগ্য হবে না। আর সতর্কতা অবলম্বনের জন্য ছবির পিছনে আপনার সাক্ষর করে দিতে পারেন।
৩. ভিসা অনুমোদন পত্র (visa approval letter)
ভিসা অনুমোদন পত্রের জন্য কোন ট্র্যাভেল এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করে আপনার ভ্রমন তারিখের কমপক্ষে ৭ দিন আগেই আপ্লাই করতে হবে। আবেদনের ৩ থেকে ৪ কর্ম দিবসের মধ্যে আপনি ভিসা অনুমোদন পত্র পেয়ে যাবেন। ভিসা অনুমদন পত্র পাবার পর প্রিন্ট করে ফেলুন এবং আপনার ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলুন কারন ভিয়েতনাম এয়ারপোর্টে আপনি যদি ভিসা অনুমদন পত্র দেখাতে ব্যর্থ হন তাহলে আপনাকে ভিসা দেবে না। ভিসাপূর্ব অনুমোদন পত্রের ফি কেমন হবে তার একটি চার্ট নীচে দেয়া হোল।
ভিয়েতনাম ভিসার জন্য মুলত এই ডকুমেন্ট গুলোর প্রয়োজন পরে এবং সেই সাথে ভিসা ফি তো আছেই।
ভিয়েতনাম টুরিস্ট ভিসা স্ট্যাম্পিং ফি
ভিয়েতনাম এয়ারপোর্টে পৌছার পর ভিসা ফি ডলার কারেন্সিতে পরিশোধ করতে হবে। অনলাইনে ভিসা ফি দেয়ার কোন বেবস্থা নেই।
ভিসা ফি | ভিসার মেয়াদ | কতদিন থাকা যাবে |
২১০০ টাকা সিঙ্গেল এন্ট্রি | ১ – ৩ মাস | ৩০ দিন |
৪১০০ টাকা মাল্টিপল এন্ট্রি | ১ – ৩ মাস | ৩০-৯০ দিন |
বি দ্রঃ ভিসা প্রসেসের জন্য প্রদত্ত যেকোনো ডকুমেন্টস ভূয়া অথবা জাল প্রমাণিত হলে, আপনার ভিসার আবেদনটি নিশ্চিতভাবে প্রত্যাখ্যান হবে এবং ইহা আইনতঃ দন্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং, এধরনের অভিপ্রায় থেকে বিরত থাকুন।
প্রয়োজনীয় তথ্যঃ
১. হাই ফং, হানোই, দা নাং, হ চি মিনহ সিটি, নাহ তারাং এই ৪ টি এয়ারপোর্ট দিয়ে আপনাকে ভিয়েতনামে প্রবেশ এবং বাহির হতে হবে যা আপনার ট্র্যাভেল প্ল্যান এর উপর নির্ভর করবে। তাই আগে থেকেই ঠিক করতে হবে আপনি কোন পোর্ট দিয়ে প্রবেশ করবেন।
২. শুধুমাত্র এয়ার ট্রাভেলারগন অন এরাইভাল ভিসা করার সুযোগ পাবেন। এয়ারপোর্টে পৌছার পর সেখানে কিছু ডকুমেন্টস দিয়ে ফর্ম পূরণ করা লাগতে পারে।
৩. আপনি যদি ভিয়েতনাম থেকে বাই রোডে কম্বোডিয়া বা অন্য কোথাও যেতে চান তাহলে আপনাকে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা করতে হবে।
৪. পাসপোর্ট সাইজ ছবি সঙ্গে রাখতে হবে।
বাংলাদেশে ভিয়েতনাম এম্বাসিঃ
ঠিকানাঃ হাউজ নংঃ ১৪ C.W.S(B), রোডঃ ৩৩/২৪, গুলশান মডেল টাউন, ঢাকা ১২১২
ফোনঃ +৮৮০২৯৮৫৪০৫২
ইমেইলঃ [email protected]
ওয়েবসাইটঃ www.vietnameseembassy.org