শীত পড়তে আর বেশি দেরি নেই। বাতাসে হালকা ঠান্ডার আমেজ। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির শীত এলেই মনটা নেচে ওঠে বেড়াতে যাওয়ার জন্য। অনেক দিন আগে থেকে অনেকেই শীতের সফরের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন। শহর থেকে অদূরে বা কাছেপিঠে কোথাও না গিয়ে, অনেকেরই মনে সাধ জাগে একটু দূরে কোথাও পাড়ি দেওয়ার। খুব ভাল হয় যদি বিদেশে কোথাও যাওয়া যায়। কিন্তু বিপুল খরচের ভয়ে অনেকেই আবার সে ভাবনা থেকে পিছিয়েও আসেন। কম খরচেও ঘুরে ঘুরে আসতে পারেন বিদেশ থেকে। তাদের জন্য রইল তেমন কয়েকটি জায়গার সন্ধান।
নেপাল
কত দিনের ছুটি পেয়েছেন, তার উপর নির্ভর করে নেপাল ভ্রমণের পরিকল্পনা সাজাতে হবে। হাতে সময় কম থাকলে অর্থাৎ তিন-চার দিনের ছুটি পেলে কাঠমান্ডু এবং তার আশপাশের কিছু এলাকা ঘুরে আসতে পারেন। তার বেশি সময় থাকলে পোখরা এবং তার আশপাশের এলাকাও ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন। কাঠমান্ডুর অলিগলি, পুরনো শহর, সন্ধ্যায় বৌদ্ধমন্দিরের আরতি দেখে মন ভাল হবে। খরচ খুব বেশি নয়। তবে আকাশপথে পাড়ি দিতে হবে।
ভুটান
আকাশপথে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় ভুটান। এক দিকে হিমালয়ের দিগন্ত বিস্তৃত রূপ আর অন্য দিকে আধ্যাত্মিকতা, ভুটানের মূল আকর্ষণ। এই শীতে কম খরচে ঘুরে আসতে পারেন পারো, থিমফু, ফুনশেলিং।
ভিয়েতনাম
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নিরিখে ভিয়েতনাম অন্য অনেক জায়গা থেকে এগিয়ে। ভিয়েতনামের ‘হা লং’ উপসাগরকে ইউনেস্কো ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসাবে ঘোষণা করেছে। শীতের ভিয়েতনাম আরও সুন্দরী হয়ে ওঠে। এক দিকে সমুদ্রের গর্জন, অন্য দিকে মনোরম পরিবেশ। শীতের মরসুমে সঙ্গীর হাত ধরে অনায়াসে পাড়ি দিতে পারেন ভিয়েতনামের উদ্দেশে।
মলদ্বীপ
দিগন্তবিস্তৃত নীল জলরাশি ও রোমাঞ্চকর সমু্দ্রের তলদেশে সঙ্গীর সঙ্গে হারিয়ে যেতে চাইলে এই শীতে আপনার ঠিকানা হতে পারে মলদ্বীপ। এই শহরে যাওয়ার যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে অনেকেরই। এই শীতে আপনার কয়েক দিনের ঠিকানে হতে পারে মলদ্বীপ। আকাশ আর সমুদ্রের নীল মিলেমিশে এক হয়ে যায়। শীতের মরসুমে মলদ্বীপের সৌন্দর্য বেড়ে দ্বিগুণ হয়। সেই সৌন্দর্যের সাক্ষী হতে চাইলে দেরি না করে বেরিয়ে পড়াই ভাল।