মুন্নার:
কেরলের মুন্নার পশ্চিমঘাট পর্বতমালার অন্যতম জনপ্রিয় শৈলশহর। পাহাড়ের মধ্যে বিস্তৃত চা বাগানের সৌন্দর্যের জন্য ব্রিটিশ আমল থেকেই মুন্নারের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে দেশ জুড়ে। মুন্নারের এরাভিকুলাম জাতীয় উদ্যান বেশ কিছু বিরল পশুপাখির আবাস। পাশাপাশি, এখানে রয়েছে আত্তুকাদ, লক্কম, নাইনাক্কাডুর মতো বিখ্যাত সব জলপ্রপাত।
সোলাং ভ্যালি:
হিমাচল মানেই সিমলা, কুলু, মানালি নয়। মানালি থেকে লেহ-মানালি হাইওয়ে ধরে রোটাং পাস যাওয়ার পথে ১৪ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে সোলাং ভ্যালি। হিমাচল প্রদেশের আকর্ষণীয় জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম। সমুদ্রতল থেকে ৮ হাজার ৪০০ ফুট উঁচুতে এর অবস্থান। রোটাং পাস খোলা থাক বা না থাক, ফেরাবে না সোলাং ভ্যালি। সব সময়ে জমজমাট থাকে এই উপত্যকা। কুলু জেলার সোলাং ভ্যালি অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের স্বর্গরাজ্য। পাহাড়ের চূড়া ছুঁয়ে ঘন জঙ্গলের মাথার উপর দিয়ে প্যারাগ্লাইডিং করে ডানা মেলে পাখির মতো ওড়ার মজাই আলাদা! এ ছাড়াও রয়েছে ট্রেকিং, ক্যাম্পিং করার সুযোগ।
কুর্গ:
পশ্চিমঘাট পর্বতের ঢালে কোদাগু জেলায় পাহাড়ঘেরা এক অনন্ত স্বপ্নের, যার নাম কুর্গ। তার শরীর জুড়ে সবুজের আধিক্য এবং কাবেরীর স্পন্দন। ইদানীং টুরিস্ট স্পট বাছতে গিয়ে বাঙালি কর্নাটকের এই মনোরম জায়গাটিতে একটু বেশিই ‘টিকমার্ক’ বসাচ্ছে। উঁচুনিচু পাহাড়, আঁকাবাঁকা পথ, বিরামহীন ছোট-ছোট ঝর্না, নদী, একরের পর একর জমিতে কফি চাষ— শহুরে কোলাহলের বাইরে যেন এক টুকরো স্বর্গ। মিলবে রিভার রাফটিং, জ়িপলিং, ট্রেকিং ও কায়াকিং-এর সুযোগ।
পঞ্চগনি:
গরমে স্বস্তির খোঁজ করতে চাইলে আপনার গন্তব্য হতে পারে মহারাষ্ট্রের পঞ্চগনি। মুম্বইয়ের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে এই শৈলশহরের অবস্থান। মহাবালেশ্বর থেকে যেতে সময় লাগবে প্রায় আধ ঘণ্টা। দুপুরের দিকে রোদ ঝলমলে পাহাড়ের দৃশ্য আর সন্ধ্যা নামলেই হালকা হিমেল হাওয়া! ঘুরে আসতে পারেন ধুম ধাম লেক, পারসি পয়েন্ট, সিডনি পয়েন্ট, টেবলল্যান্ড, লিঙ্গমালা ঝর্না! গরমের ছুটি জমবে বেশ ভালই।
উটি:
তামিলনাড়ুর নীলগিরি পাহাড়ের কোলে অবস্থিত উটিও ব্রিটিশ আমল থেকেই দক্ষিণাত্যের অন্যতম জনপ্রিয় একটি শৈলশহর। উটির আসল নাম উধাগমণ্ডলম। পাইনের বন, চা-কফির বাগান আর মেঘে ঘেরা উটিতে রয়েছে একাধিক লেক, জলপ্রপাত ও বোটানিক্যাল গার্ডেন।