প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বড় সংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বিদেশে যায়। একজন স্টুডেন্ট কাউন্সেলর এ প্রক্রিয়ায় তাদেরকে সাহায্য করে থাকেন।
সাধারণ পদবী: স্টুডেন্ট কাউন্সেলর
বিভাগ: শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের ধরন: বেসরকারি, প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি, ফ্রিল্যান্সিং
ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল টাইম, পার্ট টাইম
লেভেল: এন্ট্রি, মিড
এন্ট্রি লেভেলে অভিজ্ঞতা সীমা: ২ – ৬ বছর
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য গড় বেতন: ৳১৫,০০০ – ৳২০,০০০
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বয়স সীমা: ২৫ – ৩০ বছর
মূল স্কিল: যোগাযোগের দক্ষতা, যথাসম্ভব কম সময়ের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করতে পারা
বিশেষ স্কিল: ধৈর্য, সময় ব্যবস্থাপনা, মানসিক চাপ সামলানোর ক্ষমতা
স্টুডেন্ট কাউন্সেলর পদটি সাধারণত মাইগ্রেশন ও স্টুডেন্ট রিক্রুটিং এজেন্সিতে থাকে।
দেশের শীর্ষ একটি চাকরির ওয়েবসাইটে আইইসিসি লিমিটেড, এডুকেশন হেল্পলাইন গ্রুপ, বাংলাদেশ মালয়েশিয়া স্টাডি সেন্টার (BMSC), নিউ লাইন এবং পিএফইসি গ্লোবাল – এ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের চাকরির বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, একজন স্টুডেন্ট কাউন্সেলরের নিম্নলিখিত যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন –
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ যে কোন বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া স্টাডি সেন্টার কানাডা, চীন, মালয়েশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে ডিগ্রি আছে, এমন কাউকে নিয়োগের জন্য বাধ্যতামূলক যোগ্যতা হিসেবে গণ্য করে।
অভিজ্ঞতাঃ সাধারণত ২-৬ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ছাড়াও নিয়োগ দেওয়া হয়; যেমন – এডুকেশন হেল্পলাইন গ্রুপ অভিজ্ঞতা নেই, এমন কাউকে নিয়োগ দিতেই আগ্রহী। তবে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীরা সাধারণত প্রাধান্য পেয়ে থাকেন।
বয়সঃ এন্ট্রি লেভেলে বয়সসীমা সাধারণত ২০ থেকে ৩০ বছর। তবে বিষয়টি প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ।
বিশেষ শর্তঃকিছু কিছু সময় নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী অথবা পুরুষের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করা থাকতে পারে। যেমন – এডুকেশন হেল্পলাইন গ্রুপ তাদের নিয়োগক্ষেত্রে নারী প্রার্থীর কথা উল্লেখ করে দেয়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়, যাতে প্রার্থী খুব অল্প সময়েই চাকরি পরিবর্তন করতে না পারেন। যেমন – বাংলাদেশ মালয়েশিয়া স্টাডি সেন্টার যাকে নিয়োগ দেবে, তাকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য একই প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্ট কাউন্সেলর হিসেবে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে ৬ মাস বা নির্দিষ্ট সময় পরে বেতন বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা থাকলেও আবেদন করার আগে ব্যাপারটি খেয়াল রাখা জরুরি।
মাসিক আয় সাধারণত কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ। প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিতে বোনাস আর মাসিক আয় বৃদ্ধির ব্যাপার নির্ভর করে। তবে আপনার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশে যাবার জন্য জন্য আপনি যতজন আবেদনকারী ম্যানেজ করতে পারবেন, তত বেশি কমিশন পেতে পারেন। সাধারণত একজন স্টুডেন্ট কাউন্সেলরের মাসিক আয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
বহু এজেন্সিতে এন্ট্রি লেভেলের চাকরি নিয়ে কাজ শেখার সুযোগ রয়েছে আপনার জন্য। তবে চ্যালেঞ্জিং এ পেশায় কাজ করার জন্য প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করার দক্ষতা ও কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে।
একজন স্টুডেন্ট কাউন্সেলরের ক্যারিয়ার সুনির্দিষ্ট নয়। কোন এজেন্সিতে কয়েক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে সে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার পদে উন্নীত হতে পারেন। অন্যদিকে ফ্রিল্যান্স কনসালট্যান্ট হিসাবেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে আপনার জন্য।