চারদিকে সবুজ চা-বাগান, এর মাঝে রানওয়ে। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে পড়ে থাকা রানওয়েতে ডানা ঝাপটিয়ে আবারো উড়বে উড়োজাহাজ, সেই স্বপ্নে বিভোর চা-অঞ্চলের মানুষজন।
মৌলভীবাজারের শমসেরনগর বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমানের ফ্লাইট চালুর জন্য সবচেয়ে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রবাসী ও পর্যটকরা। বিমানবন্দরটি চালু হলে সিলেট বিভাগে পর্যটকদের সুবিধা দিতে পারবে প্রাইভেট এয়ারলাইনসগুলো। পাশাপাশি মৌলভীবাজার জেলা পর্যটন ও প্রবাসী অধ্যুষিত হওয়ায় রুটটি খুবই সম্ভাবনাময়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগরে এই বিমানঘাঁটি অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোর তুলনায় অনেকটা বড়। এখানে প্রশস্ত রানওয়ে, উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা ও অবকাঠামো সুবিধা রয়েছে। শমসেরনগর বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ফুট ও প্রস্থ ৭৫ ফুট। বর্তমানে এই জায়গাটিতে রিক্রুটস ট্রেনিং স্কুল স্থাপন করেছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। পতিত জমিগুলোতে গড়ে তোলা হয়েছে কৃষি খামার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রানওয়ের অল্প কিছু অংশ সংস্কার করে চলছে বিমানবাহিনীর নিয়মিত প্রশিক্ষণ। ২০২২ সালে সিলেট অঞ্চলের বন্যায় উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণের বিশেষ কাজ সম্পূর্ণ করা হয় এই বিমানঘাঁটি থেকে।
জানা যায়, ১৯৪২ সালে দেশের অন্যতম বৃহত্তম এ বিমানবন্দরটি তৈরি করা হয় সামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য। কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর চা-বাগানের ৬২২ একর জমি অধিগ্রহণ করে এটি নির্মাণ করা হয়। তখন বিমানবন্দরটির নামকরণ করা হয় ‘দিলজান্দ বন্দর’। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘শমসেরনগর বিমানবন্দর’। ১৯৭৫ সালে এই বিমানবন্দরে বিমানবাহিনীর একটি ইউনিট খোলা হয়। ১৯৯৫ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের প্রচেষ্টায় বেসরকারিভাবে অ্যারো বেঙ্গল এয়ার সার্ভিসের ফ্লাইট চালু হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার অভাবে এই এয়ারলাইনস যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে পারেনি। এরপর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক দুই মন্ত্রী জিএম কাদের ও রাশেদ খান মেনন বিমানবন্দরটি চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ফ্লাইট চালুতে আগ্রহ বেশি প্রবাসীদের
সরকারি তালিকা অনুযায়ী মৌলভীবাজার জেলায় প্রবাসীর সংখ্যা দুই লাখ ৫ হাজার ২৪ জন। তবে বাস্তবে এর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। প্রতি বছর কয়েক লাখ প্রবাসী এই দেশে আসা-যাওয়া করেন। তারা ঢাকা ও সিলেট বিমানবন্দর ব্যবহার করেন। ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি শমসেরনগর বিমানবন্দরটিতে ফ্লাইট চালু করা।
স্পেন প্রবাসী মোহাম্মদ মুবিন খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, যদি বিমানবন্দরটি চালু হয়, আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি সুবিধা হয়। আমরা নিয়মিত দেশে আসি। একদিকে যেমন ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে আসতে দীর্ঘ সময় লাগে, অন্যদিকে ঢাকা থেকে মৌলভীবাজার আসতেও অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শমসেরনগর বিমানবন্দরটি চালু হলে আমাদের সবচেয়ে বেশি উপকার হয়। এছাড়া সরকারও এখান থেকে রাজস্ব আদায় করতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিয়াজ আহমেদ নাইম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি কয়েক দিন আগে দেশে এসেছি। দেড় ঘণ্টা যাবত ঢাকা বিমানবন্দরের পার্কিং লট থেকে বের হতে পারিনি, এত যানজট ছিল। যদি সুযোগ থাকত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের মাধ্যমে নিজ জেলায় পৌঁছে যেতাম, অনেক সময় বেঁচে যেত। যুক্তরাষ্ট্রে দেখলাম, ওদের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই একটি বিমানবন্দর রয়েছে। আমাদের সড়ক পথের যা অবস্থা, দুই ঘণ্টার রাস্তা যেতে সময় লাগে ছয় ঘণ্টা। শমসেরনগর বিমানবন্দরটি চালু হলে আমাদের যাতায়াত সহজ হত।
বৃটিশ-বাংলা চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল মুহাইমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শমসেরনগর বিমানবন্দর চালু হওয়া দীর্ঘদিনের দাবি। বিশেষ করে আমরা যারা যুক্তরাজ্যে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আছি তাদের জন্য এটা খুবই প্রয়োজন। এতে যেমন সময় বাঁচবে, তেমনি আমাদের এলাকাও উন্নত হবে।
বদলে যাবে পর্যটনশিল্প
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি মৌলভীবাজার। এই জেলায় রয়েছে লাউয়াছড়া, মাধবকুণ্ড, মাধবপুর লেক, হাকালুকি, হামহাম বাইক্কা বিলসহ কয়েক শ পর্যটনকেন্দ্র। যেগুলোতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমান পর্যটকরা। শমসেরনগর বিমানবন্দর চালু হলে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে কয়েকগুণ, গড়ে উঠবে নতুন নতুন পাঁচ তারকা মানের হোটেল ও রিসোর্ট।
গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফের জিএম আরমান খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শমসেরনগর বিমানবন্দরটি চালু হলে মৌলভীবাজার জেলায় পর্যটনশিল্পে নতুন সম্ভবনা তৈরি হবে। সরকার যেহেতু উদ্যোগ নিয়েছে আশা করি এটি বাস্তবায়ন হবে। বাস্তবায়ন হলে দেশী পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়বে।
দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা
সম্মিলিত সামাজিক সংগঠনের সভাপতি খালেদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, শমসেরনগর বিমানবন্দরটি চালুর জন্য মৌলভীবাজারের সকল সামাজিক সংগঠন সম্মিলিতভাবে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। মৌলভীবাজার প্রবাসী অধ্যুষিত জেলা। প্রবাসীরা নিজ এলাকায় নির্বিঘ্নে পৌঁছাতে চান। এজন্য শমসেরনগর বিমানবন্দরটি চালু হওয়া প্রয়োজন।
নিবরাস ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী আহমেদ বিলাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, হজের মৌসুম এলে সড়ক পথে হাজীদের অনেক কষ্ট করে গিয়ে ফ্লাইট ধরতে হয়। যদি অভ্যন্তরীণভাবে ঢাকা যাওয়ার জন্য একটি ফ্লাইট থাকত তাহলে সহজে হাজীরা ঢাকায় যেতে পারতেন। তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী আছেন যাদের বাড়ি মৌলভীবাজারে। তারাও চান নিজ এলাকার এই বিমানবন্দরটি দ্রুত চালু হোক।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এডুকেশনের ব্যবস্থাপক নুরুল হাসনাত রায়হান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শমসেরনগর বিমানবন্দর চালু হলে আমাদের অনেক উপকার হবে। আমাদের কিছু শিক্ষার্থী যারা একেবারে ডেডলাইনে ভিসা পান। ফলে কম সময়ের মধ্যে তাদেরকে যেতে হয়। সেসময় দেখা যায় সিলেট থেকে ঢাকা কিংবা ঢাকা থেকে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে সময়মতো টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। সড়ক পথে গেলে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লেগে যায়। তাই আমাদের দাবি অন্ততপক্ষে অভ্যন্তরীণ যাতায়াতের জন্য হলেও বিমানবন্দরটি চালু করা হোক।
উপকৃত হবেন কয়েক জেলার বাসিন্দা
মৌলভীবাজারের পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো হলো সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ। শমসেরনগরের বিমানবন্দরটি চালু হলে মৌলভীবাজারের ৭, হবিগঞ্জের ৯ উপজেলাসহ সিলেট ও সুনামগঞ্জের কয়েকটি উপজেলার বাসিন্দারা বিমানসেবা নিতে পারবেন।
শমসেরনগর বিমানবন্দর থেকে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ ৫৭ কিলোমিটার, মাধবপুর ৮৭ কিলোমিটার, চুনারুঘাট ৬০ কিলোমিটার, লাখাই ৮১ কিলোমিটার, বাহুবল ৫৫ কিলোমিটার, হবিগঞ্জ সদর ৭০ কিলোমিটার দূরে। যেখানে ওই সব উপজেলাগুলো থেকে সিলেট বিমানবন্দরের দূরত্ব ১৩০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার। আর মৌলভীবাজার জেলার সাতটি উপজেলার দূরত্ব ৪০ কিলোমিটারের বেশি নয়। তাই এই ১৩টি উপজেলার মানুষের জন্য কাছাকাছি অবস্থানে আছে শমসেরনগর। এছাড়া শমসেরনগরের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ রয়েছে। যার কারণে পার্শ্ববর্তী আরও কয়েকটি জেলার মানুষের বিমান চলাচলের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে শমসেরনগর বিমানবন্দর।
মাইক্রোবাসচালক বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি বিমানবন্দরটি চালু হোক। এটি চালু হলে আমাদের যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে। এতে আমাদের অনেক উপকার হবে।
মৌলভীবাজার জেলা মিনিবাস মালিক গ্রুপ ও শ্রমিক লীগের জেলা সভাপতি আসাদ হোসেন মক্কা ঢাকা পোস্টকে বলেন, শমসেরনগর বিমানবন্দর চালু হলে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। মালিকরা ওই সড়কে নতুন গাড়ি নামাতে পারবেন। এটি চালু হওয়া দীর্ঘদিনের দাবি।
বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন ব্যবসায়ীরা
মৌলভীবাজারকে বলা হয় ‘ল্যান্ড অব দ্য টি’। জেলায় রয়েছে ৯২টি চা-বাগান। এসব চা-বাগানের মালিক দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা। উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় মালিকরা চা-বাগান পরিচালনায় অনেকটা ভোগান্তিতে পড়েন। আবার যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ না হওয়ায় শ্রীমঙ্গলের চা নিলামে অংশ নিতে পারছেন না দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা।
শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রের পরিচালক হেলাল আহমদ বলেন, শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রে চট্টগ্রাম কিংবা অন্যান্য এলাকা থেকে ব্যবসায়ীদের আসতে অনেক কষ্ট হয়। যার কারণে অনেকে অংশ নিতে পারেন না। ট্রেনেও পর্যাপ্ত টিকিট পাওয়া যায় না। আবার সময়ও বেশি লাগে। যদি বিমানসেবা চালু হয় চা শিল্প সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে।
বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট বিভাগীয় চেয়ারম্যান জিএম শিবলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, শমসেরনগর বিমানবন্দরটি চালু হলে চা শিল্পের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকার হবে। চা সংশ্লিষ্টরা কম সময়ের মধ্যে বাগান পরিচালনা করে উৎপাদনও বাড়াতে পারবেন।
দি মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. কামাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, যারা কর্মজীবী, ব্যবসায়ী ও অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের দ্রুত কাজ করতে হয়। ভারতে কিছু দিনের মধ্যে ৩৯টি বিমানবন্দর স্থাপন করেছে তাদের যোগাযোগ উন্নত করার জন্য। আকাশ, ট্রেন কিংবা সড়ক পথ প্রত্যেকটি জায়গায় সরকার উন্নত করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। মানুষ লঞ্চ ছেড়ে রাস্তায় এসেছে। এখন সড়ক পথে গাড়ি নিয়েও দেখবেন অনেক জায়গায় সঠিক সময়ে যেতে পারবেন না। আমাদের বন্ধ বিমানবন্দরগুলোতে অবকাঠামোগত কাজ করা আছে। আর কিছুটা সংস্কার করলেই চালু করা যাবে। এই বিমানবন্দরগুলো চালু করা এখন সময়ের দাবি। আমাদের শমসেরনগর বিমানবন্দর চালু হলে কিছু দিন পর এখানে কার্গো আসবে। কার্গো ফ্লাইটের মাধ্যমে আমাদের চা-পাতা, মিঠা পানির মাছ দ্রুততম সময়ের মধ্যে পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় পৌঁছে দিতে পারব।
ফ্লাইট চালু করতে আগ্রহী এয়ারলাইনসগুলো
বেসরকারি সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, একটি বিমানবন্দর চালু হওয়া মানে ওই এলাকা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি অর্জন করা। পাশাপাশি মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্য পৌঁছাতে পারবেন। বন্ধ থাকা সকল বিমানবন্দর চালু হলে ফ্লাইট চালুর ব্যাপারে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। সিলেট-মৌলভীবাজার এলাকা ইউরোপ ও লন্ডন প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা। সেখানে শুধু সিলেট বিমানবন্দর দিয়ে চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। সেই ব্যাপারেও আমরা বিশেষ পরিকল্পনা নেব।
নভোএয়ারের হেড অব মার্কেটিং মিছবাহ উল ইসলাম বলেন, শুধু শমসেরনগর নয়, দেশে বন্ধ থাকা সকল বিমানবন্দর চালু হলেই নভোএয়ার ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শমসেরনগর বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে এখনো অফিসিয়ালি কোনো কাগজপত্র আসেনি। যদি চালু হয়, তাহলে এই জেলা অনেক এগিয়ে যাবে। এছাড়া প্রবাসী অধ্যুষিত এই এলাকায় বিমানবন্দরটি খুব প্রয়োজন।
মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. আব্দুস শহীদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, শমসেরনগর বিমানবন্দরটি চালু হলে প্রবাসীরা দ্রুত বাড়ি ফিরতে পারবেন। বিশেষ করে হবিগঞ্জ, সিলেট এবং মৌলভীবাজারের বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন। এ বিষয়ে সংসদে একাধিকবার দাবি জানিয়েছি। সব মিলিয়ে বিমানবন্দরটি চালু হওয়া জরুরি। তবে কিছু কারিগরি বিষয় আছে যেগুলো খেয়াল রাখতে হবে।