হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগামী বৃহস্পতিবার ভাঙা পড়ছে দেশি-বিদেশি সরকার প্রধানদের জন্য ৮০ দশকের তৈরি সেই অধ্যাধুনিক ভিভিআইপি টার্মিনাল। স্বাধীনতার পর বিমানবন্দরের এ টার্মিনাল ব্যবহার করে দেশ-বিদেশে যাতায়াত করছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রতি, প্রধানমন্ত্রীসহ ভিভিআইপি যাত্রীরা।
বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (বেবিচক) কর্মকর্তারা জানান, সেই ৮০ দশকের তৈরি এ টার্মিনাল এখন বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ভাঙা হচ্ছে এটি। অপরদিকে ভিভিআইপি যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে তৈরি হচ্ছে প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের আরও একটি টার্মিানাল।
জানা যায়, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। তবে বর্তমান সব জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ নির্মাণ ব্যয় বাড়ছে আরও কয়েক হাজার কোটি টাকা বাড়ছে। এরইমধ্যে এ নির্মাণ প্রকল্পের প্রায় ৬৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী অক্টোবরে এ প্রকল্পের আংশিক কিছু অংশ উদ্বোধন করা হবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান সমকালকে জানান, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের মধ্যে পড়েছে ভিভিআইপি টার্মিনাল। এ কারণে আগামী ৬ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এটি ভাঙার কাজ।
এ ব্যপারে বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল মালেক জানান, দেশের ভিভিআইপিদের জন্য প্রায় ৮০ দশকের নির্মাণ করা হয় বিমানবন্দরে অত্যাধুনিক ভিভিআইপি টার্মিানাল। কিন্ত বর্তমান সরকারের বড় একটি নির্মাণ প্রকল্পের কাজ (তৃতীয় টার্মিনাল) চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মধ্যে পড়েছে বিমানবন্দরের সেই ৮০ দশকের নির্মাণ করা ভিভিআইপি টার্মিানাল। এ কারণে এটি ভাঙা হচ্ছে।
প্রধান প্রকৌশলী আবদুল মালেক আরও জানান, ভিভিাাইপিদের জন্য বিমানবন্দরে নির্মাণ হচ্ছে অত্যাধুনিক মানের একটি ভিভিআইপি টার্মিনাল। প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক টার্মিনাল ভবনের উত্তর পাশে এর নির্মাণ কাজ চলছে। এরইমধ্যে এর সিংহভাগ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েেছে। তিনি বলেন, এখন শুধু ফিনিশিং কাজ বাকি আছে। এ কাজ শেষ হলেই সেটি ব্যবহার করতে পারবেন ভিভিআইপি যাত্রীরা।