ক্রেডিট কার্ড কিংবা টিকিট বহনের ঝামেলা এড়ানোর বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছে অ্যামাজন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে ওয়ান’স পাম-রিডিং প্রযুক্তি প্রকাশ্যে আনে তারা, যা বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহারের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির পরিচয় জানতে হাতের তালু স্ক্যান করে। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিজিটালি অর্থ প্রদানের পাশাপাশি স্টেডিয়ামে টিকিট প্রদর্শন ছাড়াই ব্যবহারকারী প্রবেশ করতে পারে।
এনগ্যাজেটের খবরে বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে অচিরেই অ্যামাজন ওয়ান’স পাম রিডিং প্রযুক্তি ক্রেডিট কার্ড ও টিকিটের বিকল্প হয়ে উঠবে। বর্তমানে আমেরিকার চেইন স্টোর প্যানেরার গ্রাহকের জন্য এটি চালু করা হয়েছে। অ্যামাজনের সঙ্গে প্যানেরার নতুন এ অংশীদারত্বের মাধ্যমে চেইন স্টোরটির গ্রাহক পাম-রিডিং প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্থ পরিশোধের পাশাপাশি লয়ালিটি পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে।
খাবার কেনার জন্য গ্রাহকদের প্রথমে অ্যামাজন অ্যাকাউন্টের সঙ্গে মাইপ্যানেরা সদস্য হিসেবে সংযুক্ত হতে হবে। এতে ফোন নম্বর হস্তান্তরের প্রয়োজন পড়বে না। অ্যামাজনের দাবি, প্রযুক্তিটি সার্ভারগুলোকে গ্রাহক শনাক্ত করতে সক্ষম করার পাশাপাশি তাদের নাম এবং প্রিয় পণ্যগুলোকে চিহ্নিত করতে সহযোগিতা করবে। বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ওয়ান’স পাম-রিডিং প্রযুক্তি গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে যথার্থ ও অর্থপূর্ণ করবে।
২০২০ সালে অ্যামাজন ওয়ান চালু হওয়ার পর থেকে এটি বেশ কয়েকটি ফুড স্টোর (অ্যামাজনের মালিকানাধীন) এবং কনসার্ট ভেন্যুতে ব্যবহার করা হয়। তবে প্রযুক্তিটি সরকারি সংস্থাগুলোকে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করতে পারে, শিল্পী ও সমাজকর্মীদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে সংগীত ও খেলার আসরগুলোয় তা ব্যবহার করার বিষয়টি বারবার পিছিয়ে দেয়া হয়। তবে প্যানেরার মতো নতুন অংশীদার ঘোষণার পাশাপাশি অ্যামাজন নিশ্চিত করেছে যে এটি এখন গ্রাহকদের আগে থেকে নিবন্ধনের সুযোগ দিচ্ছে।
প্যানেরার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সেন্ট লুইসের দুটি দোকানে অ্যামাজন ওয়ান প্রযুক্তি নিয়ে আসা হয়েছে। তবে আসছে মাসগুলোকে এটিকে আরো ব্যাপক পরিসরে ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে তারা।