কক্সবাজার থেকে ১২ কি:মি: দূরে পাহাড়ের কোল ঘেষে সমুদ্র সৈকত হিমছড়ি। এখানকার সমুদ্র সৈকতটি কক্সবাজারের অপেক্ষাকৃত নির্জন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। এর সৌন্দর্য কিন্তু কক্সবাজার থেকে কোন অংশে কম নয়। কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার পথটি স্বপ্নের মতো সুন্দর। একপাশে সবুজ পাহাড়। মাঝখানে মেরিন ড্রাইভ। গাড়িতে মেরিন ড্রাইভে হিমছড়ি ভ্রমনের আনন্দ আপনার সারাটা জীবন মনে থাকবে।
পাহাড় থেকে দেখতে পাবেন নীল দিগন্তে হারিয়ে যাওয়া বিশাল সমুদ্র। হিমছড়ির পাহাড়ের হিম শীতল ঝর্নাগুলো খুব আকর্ষনীয়। হিমছড়ি ভ্রমনের জন্য উত্তম বাহন খোলা ছাদের জীপ বা বাস।
খোলা জীপে বা বাসে চড়ে হিমছড়ি ভ্রমনে আপনার মনে হবে যেন কোন এক স্বপ্নের দেশে ভেসে বেড়াচ্ছেন। পাহাড়ের নানা ঝোপ ঝাড়ের সাথে সমুদ্র সৈকতে সারি সারি ঝাউগাছ আর নারিকেল গাছ চোখে পড়বে।
হিমছড়িতে ছোট একটি পর্যটন কেন্দ্র আছে। ভিতরের পরিবেশটা খুবই সুন্দর। পাহাড়ের উপর আছে বিশ্রামাগার। প্রায় দুই শতাধিক সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হয়।
উপরের উঠার কষ্টটা অবশ্য এক মুহুর্তের মধ্যে ভূলে যাবেন, যখন পাহাড়ের চূড়া থেকে কক্সবাজারের পুরো সমুদ্র সৈকতটি এক পলকে দেখতে পাবেন। দুর্লভ সে দৃশ্য। এখানে রয়েছে একটি ছোট্ট ঝরনা কিন্তু বর্ষা মৌসুমে এটি অন্যরূপ ধারন করে।
এখানেই মারমেইড ইকো রিসোর্ট অবস্থিত। পেচার দ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশে কটেজ তৈরী করা হয়েছে। ইয়োগা সেন্টার, স্পা, নৌকা ভ্রমন, সম্মেলন কক্ষ, প্রেক্ষাগ্রহ সহ সব কিছুরই ব্যবস্থা আছে এই পরিবেশ বান্ধব অবকাশযাপন কেন্দ্রে।
এখানে নেই কোন কোলাহল। একান্ত নিরিবিলিতে বেড়াতে চাইলে এটি হবে বেষ্ট ডেষ্টিনেশন। দুপুরের রোদ পড়ে গেলে বিকালে কুঠিরের সামনের বাসের বেঞ্চে গা এলিয়ে দিয়ে প্রকৃতি উপভোগ করতে পারেন।
বাংলোর সারি সারি নারিকেল গাছ পেরিয়ে হেটে গেলে রেজু খালের পাড় চোখে পড়বে। পাল দিয়ে ভেসে যায় বাহারি সাম্পান। দূরে আদিগন্ত সমুদ্র উপভোগ করতে পারেন।
বালুকনা বা বেলায় পা রাখতেই ছুটে পালাবে লাল কাকড়ার দল। দক্ষিনা বাতাসের দোলায় মাথা নেড়ে অভিবাদন জানাবে ঝাউবন। নির্জন সাগরতীরে ইচ্ছে মতো ঘুরতে পারেন। এক সৌন্দর্য মৌনতার ডুবে আছে পুরো চর। রাতের বেলা চাদের আলোয় সমুদ্র দর্শন আপনার সারাটা জীবন মনে থাকবে।