পথচলার দুই দশক পার করেছে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘চিরকুট’। এ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম মাঠে বিশেষ কনসার্টের আয়োজন করে ব্যান্ডটি।
‘টিএসসি টু ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেন’ শিরোনামের এই কনসার্টে শ্রোতাদের উপচে পড়া উপস্থিতি নজরে আসে। মঞ্চে উঠে একের পর এক গানে উপস্থিত শ্রোতাদের উচ্ছ্বাস বাড়িয়ে দেন ‘চিরকুট’র ভোকাল, গীতিকার ও সুরকার শারমীন সুলতানা সুমি। শ্রোতারাও তার সঙ্গে কণ্ঠ মেলান।
মঞ্চে উঠার আগে আরটিভি নিউজের সঙ্গে আলাপকালে সুমি জানান, ‘খুলনা থেকে শূন্য হাতে এসেছিলাম। এই জায়গা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) জানে আমার প্রথম সবকিছু। চিরকুট নিয়ে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলো, বাতাস, ছায়া- তা জানে। সেসব কথা কাউকে বলতে চাইনি। সবসময় হাসিমুখে থেকেছি। তবে এখানে আসলে একদম গলে যাই।’
তিনি যোগ করেন, ‘অনেক কাজ বেড়েছে, প্রাপ্তি এসেছে। সবচেয়ে বেশি এসেছে মানুষের ভালোবাসা। আমি পৃথিবীটাকে সহজ করে দেখতে চাই। এত কঠিন ভালো লাগে না।
সবার জীবনেই সংগ্রাম, সাফল্য থাকে। শুধু শুধু জটিল করার প্রয়োজন নেই। কালকেই মরে যেতে পারি। চেষ্টা করি, কাছের মানুষদের কাছাকাছি থাকতে। আমি মনে করি, কনসার্টে আসা শেষ মানুষটাও আমার মানুষ। সেই অনুভূতি আমার মধ্যে কাজ করে।’
গায়িকার ভাষ্য, ‘আমার বাবা-মাকে দেখতাম, সবসময় মানুষের উপকার করতে চাইত। কিন্তু আমার তো কোনো উপায় ছিল না। সৃষ্টিকর্তা দয়া করে আমাকে মিউজিক দিয়েছেন। সেটাকে কীভাবে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানো যায়, সেই চেষ্টা করছি।’
সুমি বলেন, ‘আমি খুব প্ল্যান করে কাজ করি না, ভালোবেসে কাজ করি। আমরা হাল ছাড়ি নাই। প্রচুর পরিশ্রম করেছি। বাকিটা উপরওয়ালার ইচ্ছা, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। প্রাপ্তি আসবে, প্রাপ্তি যাবে- তবে বেসিকে থাকা খুব জরুরি। এজন্য পা মাটিতে রাখার চেষ্টা করি।’
তার প্রত্যাশা, ‘দেশকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে। বাংলাদেশের মাটি, গন্ধ আমার খুব ভালো লাগে। গানের মাধ্যমে দেশের জন্য কাজ করতে চাই। প্রতি মুহূর্তে বাঁচতে হবে, হাসতে হবে, জীবন উপভোগ করতে হবে, কারও ক্ষতি করা যাবে না