বিয়ে মানেই জীবন সম্পূর্ণ ৩৬০° ঘুরে যাওয়ার সামিল। একার জীবনে সকাল থেকে রাত এক নতুন মানুষের অবাধ প্রবেশ। তবে অচেনা দুটো মানুষকে সোজা পথে চেনার উপায় হলো মধুচন্দ্রিমা। তাই বিয়ের আগে থেকেই প্রচুর চিন্তাভাবনা চলতে থাকে মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাওয়া যায় তা নিয়ে। ঠিক না করলে এবার মধুচন্দ্রিমায় যেতে পারেন উল্টো জলপ্রপাত। শুনে চমকে গেলেও মহারাষ্ট্রের পুণেতে নাণেঘাট পর্বতমালায় রয়েছে ‘উল্টো জলপ্রপাত’।
হাওড়া থেকে ট্রেনে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে পুণে। সেখান থেকে গাড়িতে উল্টো জলপ্রপাত যেতে সময় লাগবে ঘন্টা সাতেক। অল্প টাকায় বাস ভাড়া করেও পুনে থেকে যেতে পারবেন। সেখানে নাণেঘাট পর্বতের আশপাশে মহারাষ্ট্র পর্যটন বিভাগের নিজস্ব কিছু হোটেল আছে। আগে থেকে অনলাইন বুকিং করে কম টাকায় সেখানে থাকতে পারবেন। নাহলে একটু বেশি টাকা দিয়ে আপনি অন্য বড়ো হোটেল বুকিং করতে পারবেন।
বিস্ময়কর প্রাকৃতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকবেন আপনি এই জায়গায় ঘুরতে গেলে। যারা ট্রেকিং করতে ভালোবাসেন তাঁরা অনায়েসেই করতে পারবেন। লোনাভালা-খাণ্ডালা উল্লেখযোগ্য দুটি জায়গা যা হাতে সময় নিয়ে একটা গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে দেখতে পারবেন। তবে এই উল্টো জলপ্রপাত দেখতে কিন্তু আপনাকে বেশ কষ্ট করতে হবে। প্রায় চার ঘন্টা পথ হেঁটে উপরে উঠতে হবে। আবার জলপ্রপাত দেখে চার ঘন্টা সময় ধরে নিচে নামতে হবে।
সাইড সিন হিসাবে লোনাভালা রেঞ্জে অবস্থিত দুর্গ দেখতে পারেন যা ইতিহাসের পাতাতেও লেখা আছে। খ্রিস্ট জন্মের পূর্বে রাজা ভোজের আমলে এই দুর্গ তৈরি করা হয়েছিল। ভিসাপুর দুর্গ দেখতে পারবেন একদম পাশে। বিজ্ঞানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কার্যত প্রকৃতিকে এখানে উল্টো পথে জল বইতে দেখা যাচ্ছে। বাড়ি ফেরার পথে আপনাদের মন অবশ্যই খারাপ হবে এমন একটা দুর্দান্ত এডভেঞ্চারের পরে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।