এজেন্সির সাহায্য ছাড়া নিজে যেভাবে ফিলিপাইনের ভিসা করবেন – স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন :-
১ – ট্যুরিস্ট ভিসায় আপনার আগ্রহ প্রকাশ করে ফিলিপাইন দূতাবাসে একটি ইমেল পাঠাবেন – (
[email protected])
২ – ফিডব্যাক মেইলে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম সহ যে সকল ডকুমেন্টস লাগবে তার একটি চেকলিস্ট পাবেন। এবং তারা আপনাকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়ার জন্য একটি লিংক দিবে। ওই লিংকে গিয়ে আপনার বেসিক ইনফরমেশন গুলো দিবেন এবং অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি ফিল আপ করে ওখানে সাবমিট করবেন।
৩ – এখন আসি আপনার যে সকল ডকুমেন্টস লাগবে –
ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম নির্ভুলভাবে পূরণ করবেন
২*২” সাইজের ছবি; অবশ্যই ল্যাব প্রিন্ট হতে হবে।
ভিসা রিকোয়েস্ট লেটার – আপনি কে, কি করেন, কেন যেতে চান, কত দিন থাকবেন, কোন শহরগুলিতে যাবেন, আপনার সাথে পরিবারের কে কে যাচ্ছে – এসব লিখবেন, আপনার পূর্বের ট্রাভেল হিস্টোরি উল্লেখ করবেন।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট : এক জনের জন্য মিনিমাম ৩-৫লক্ষ টাকা ব্যালেন্স সহ লাস্ট ছয় মাসের স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। বিজনেস একাউন্টে অবশ্যই প্রতিমাসে ৫/১০ টা লেনদেন থাকতে হবে।
যদি ৩ জন ফ্যামিলি মেম্বার আবেদন করেন তাহলে একজনের স্টেটমেন্ট দেখালেই হবে এবং কমপক্ষে ৬-১০ লক্ষ প্লাস ব্যালেন্স দেখাতে হবে। সেই সাথে সল্ভেন্সি সার্টিফিকেট দিবেন
ফ্লাইট বুকিং: শেয়ারট্রিপ অথবা গো জায়ান থেকে নন পেইড টিকেট বুক করবেন আর পেমেন্ট মেথড দিবেন ক্যাশ অন ডেলিভারি। এটা প্রিন্ট করে নিলেই হবে। অন্যথায় কোন এজেন্সি থেকে করে নিবেন।
হোটেল বুকিং: বুকিং ডট কম অথবা অ্যাগোডা থেকে একটা ননপেইড বুকিং দিবেন; ফিল্টার থেকে বুক উইদআউট ক্রেডিট কার্ড সিলেক্ট করে।
ট্রাভেল আইটেনারি : যেহেতু আপনাকে ম্যানিলাতেই ল্যান্ড করতে হবে আপনি সহজে ভিসা পাওয়ার জন্য শুধু মাত্র ম্যানিলারই ৪/৫ দিনের ট্রাভেল আইটেনারি দিবেন। ধরেন আপনার অন্য সিটিতে যাওয়ার প্লান আছে, আপনি ট্রাভেল আইটেনারিতে উল্লেখ করলেন কিন্তু ওই সিটিতে যাওয়ার এয়ার টিকেট/বাস টিকেট দিলেন না, এ কারনেই আপনার ভিসা রিজেক্ট হয়ে যাবে। আপনি ভিসা পাওয়ার পর যেখানে মন চায় যান সমস্যা নেই।
পেশাগত প্রমান : আপনি জব হোল্ডার হলে অবশ্যই এনওসি, অফিস আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
আর বিজনেস করলে ট্রেড লাইসেন্স এর নোটারাইজড কপি এবং ভিজিটিং কার্ড ও পেড লাগবে।
সঙ্গে বাচ্চা থাকলে অবশ্যই বাচ্চার বার্থ সার্টিফিকেট লাগবে এবং পাসপোর্ট ইনফরমেশন পেজ ফটোকপি।
স্পাউস সঙ্গে থাকলে স্পাউসের নাম যদি পাসপোর্টে মেনশন না থাকে তাহলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট নোটারাইজড কপি লাগবে।
৪- সকল ডকুমেন্টস রেডি হলে ফিলিপাইন দূতাবাসের মেইলের রিপ্লাই করবেন ডকুমেন্টস গুলো অ্যাটাচ করে এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাইবেন। ওরা ৭/১০ দিনের মধ্যেই আপনাকে মেইল করবে এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডেট দিবে।
৫- ফ্যামিলি হলে যে কোন একজন গিয়ে সকলের পাসপোর্ট এবং ডকুমেন্টস জমা দিয়ে আসতে পারবেন।
৬- ভিসা ফি: আগে ৪৬০০ ছিলো রিসেন্টলি ৫০০০ হয়েছে ।
যেকোন দেশের ভিসা প্রসেসিং নিজে নিজেই করা সম্ভব।
Like this:
Like Loading...