পর্যটক বাড়াতে পাঁচ বছরের জন্য ভ্রমণ ভিসা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মিশর সরকার। অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে পর্যটন ও পুরাকীর্তিমন্ত্রী আহমেদ ইসা বলেন, মিশর ৭০০ ডলারের বিনিময়ে পাঁচ বছরের জন্য মাল্টিপল ভ্রমণ ভিসা দেবে। প্রথমবারের মতো পর্যটনে রাজস্ব আয় বাড়াতে সম্প্রতি একাধিক বছরের জন্য ভ্রমণ ভিসা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে উত্তর আফ্রিকার এই দেশটি।
এছাড়া ৩০ দিনের জন্য মিশরের অন-অ্যারাইভাল পেতে পারে এমন তালিকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশসহ ১৮০টি দেশ। স্বল্পমেয়াদি (৩০ দিনের জন্য) অন-অ্যারাইভাল ভিসাটি ২৫ ডলার ফি পরিশোধ করে পাওয়া যাবে। এই তালিকায় নতুন যুক্ত হয়েছে আরও দুটি দেশ ‘চীন ও ভারত’। এই দু-দেশের নাগরিকরা এখন থেকে এই সুযোগ পাবেন।
এর আগে গত বছরের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশি সাধারণ পাসপোর্টধারীদের জন্য শর্ত সাপেক্ষে এক বছর জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালু করে নীলনদ আর পিরামিডের দেশ মিশর।
এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ দূতাবাসের আবেদনের ফলে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই ভিসার মেয়াদ বলবৎ থাকবে বলে দূতাবাসকে জানায় মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর।
সম্প্রতি মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া বিষয়ক দপ্তর থেকে দেওয়া সরকারি পরিপত্রে কায়রোতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানানো হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গত বছরে করা শর্ত সাপেক্ষে অন-অ্যারাইভাল ভিসার চুক্তিটি বলবৎ থাকবে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসকে দেওয়া পরিপত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে এক বছরের জন্য শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য এই সুবিধা দিয়েছিল দেশটি।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আবারও দুই বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করতে মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধপত্র পাঠান বাংলাদেশ দূতাবাস। অন-অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা পাওয়ার শর্ত হচ্ছে, সাধারণ পাসপোর্টধারীদের পাসপোর্টে জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও শেনজেনভুক্ত ইউরোপীয় দেশের বৈধ ও ব্যবহৃত অন্তত ছয় মাসের মেয়াদি ভিসা কিংবা রেসিডেন্স পারমিট থাকতে হবে।
সম্প্রতি মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া সরকারি পরিপত্রে কায়রোতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানানো হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গত বছরে করা শর্ত সাপেক্ষে অন-অ্যারাইভাল ভিসার চুক্তিটি বলবৎ থাকবে।
আগ্রহী বাংলাদেশিদের মিশর ভ্রমণের সময় দেশটির সরকারি পরিপত্রটি অনুবাদের কপিসহ সঙ্গে রাখতেও অনুরোধ জানান মিশরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম।