বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৩ অপরাহ্ন
Uncategorized

৫ ক্যাটাগরির ভিসাধারীদের স্বামী/স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার অনুমতি পেতে পারেন

  • আপডেট সময় সোমবার, ১০ মে, ২০২১

H-1B : বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তি এবং উচ্চতর ডিগ্রিধারীরা H-1B ভিসা পেতে পারেন। তবে নিয়োগকারীর প্রতিষ্ঠান কর্তৃক H-1B প্রার্থীর জন্য Sponsor করতে হয়। এক্ষেত্রে H-1B প্রার্থীদের স্বামী/স্ত্রী এবং ২১ বছরের কমবয়সী সন্তানরা H-4 ভিসা পেতে পারেন এবং এর ভিত্তিতে ওয়ার্ক পারমিট পেতে পারেন।

E-1 Visa : E-1 ভিসাকে “Treaty” ভিসাও বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যে সমস্ত রাষ্ট্রের Treaty বা বাণিজ্যিক চুক্তি রয়েছে, তারা ঊ-১ ভিসা পেতে পারেন। E-1 ভিসাধারীদের স্বামী/স্ত্রী Form I-750 Fill Up করে Employment Card বা ওয়ার্ক পারমিট পেতে পারেন।

E-2 Visa : E-2 ভিসা যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। যারা যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য অংকের অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন, তাঁদের জন্যই E-2 ভিসাসমূহ সংরক্ষিত থাকে। E-2 ভিসা পাওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত রয়েছে এবং শর্তসমূহ পূরণ সাপেক্ষেই ভিসা পাওয়া যেতে পারে। যদিও E-2 ভিসাধারীরা শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের জন্যই কাজ করতে পারেন। তবে E-2 ধারীদের স্বামী/স্ত্রী H-4 ভিসার মাধ্যমে যেকোন কোম্পানিতেই কাজ করতে পারেন, এমন কি Self-Employed হিসাবেও কাজ করতে পারেন।

E-3 Visa : E-3 ভিসা Australian Citizen-দের জন্যই সংরক্ষিত। এটিও ঐ-১ই ভিসার মত একটি Specialty ভিসা। Australia United States Free Trade Agreement (AUSFTA)-এর মাধ্যমে এই ভিসা চালু করা হয়। এই ভিসাধারীদের স্বামী/স্ত্রী H-4 ভিসায় ওয়ার্ক পারমিট পেতে পারেন।

L-1 Visa : যারা ব্যবসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে যুক্তরাষ্ট্রে Transfer করতে চান অথবা যুক্তরাষ্ট্রের কোন কোম্পানির সাথে সংযুক্ত করতে চান, তারা L-1 ভিসা পেতে পারেন। ব্যবসায়ীদের জন্য L-1 ভিসাই উত্তম ভিসা। এ ভিসাধারীদের স্বামী/স্ত্রীরা H-4 ভিসার মাধ্যমে Employment Authorization পেতে পারেন এবং L-1-ধারীদের স্বামী/স্ত্রীরা যে Employment Authorization পান, তা যেকোন স্থানে কাজ করার জন্য উপযুক্ত বলে গণ্য হয়।

উল্লেখ্য, H-1B ভিসাধারীদের বিশেষ দক্ষতা ও যোগ্যতাধারী ব্যক্তি বলে গণ্য করা হয়। তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাচেলর ডিগ্রি বা তার সমমানের ডিগ্রির অধিকারী হতে হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রিধারীরা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাচেলর মানের ডিগ্রিধারী বলে গণ্য হবেন। আবার L-1, E-1, E-2 ভিসাধারীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রসার ও ব্যাপ্তির জন্য ভিসা পেয়ে থাকেন। অন্যদিকে E-3 ভিসা H-B ভিসার মত স্পেশালিটি ভিসা শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। H-1, L-1, E-1, E-2, E-3 ভিসাসমূহ বিশেষ ভিসা এবং এর জন্য বিশেষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ইমিগ্রেশন আইনজীবী নিয়োগ প্রয়োজন।

মোহাম্মদ এন মজুমদার

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com