বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের গ্রুপ টিকিট বিক্রির নামে ৩৮টি ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মালয়েশিয়াগামী হাজারো ব্যক্তির যাত্রা। প্রতারক চক্রটি রাজধানীর রামপুরায় লেটস ফ্লাই নামের একটি এজেন্সি খুলে এই প্রতারণা করেছে। ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের আসল পরিচয় শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
রাজধানীর রামপুরা থানার সামনে অবস্থানকারী এরা সবাই বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে জড়িত। মালয়েশিয়া যাওয়ার গ্রুপ টিকিটের জন্য সপ্তাখানেক আগে লেটস ফ্লাই নামের একটি এজেন্সিকে প্রায় ১০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন তারা।
এয়ারলাইন্সের অফিসে খোঁজ নিলে জানা যায় টিকিট বুকিং হলেও, পেমেন্ট করেনি লেটস ফ্লাই। তাদের অফিসে গিয়েও পাওয়া যায় না কাউকে।
ভুক্তভোগী জানান, অফিসে গিয়েছি, কাউকেই পাইনি।
ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে ছাড়ের লোভে প্রতারিত ৩৮ ট্রাভেল এজেন্সির মধ্যে ১২টি রোববার সকালে মামলা করে লেটস ফ্লাইয়ের তিন অংশিদার ইমরান, সবুজ, রায়হান ও এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রতারক এজেন্সি লেটস ফ্লাইয়ের তিন মালিক বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, এমন তথ্যে অভিযান চালিয়েও তাদের ধরা যায়নি।
এদিকে লেটস ফ্লাইয়ের কর্মী শাম্মী আখতার থানায় জিডি করতে গেলে প্রতারণায় মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।