ব্যবসা (Business) তো অনেক ধরনের হয়। আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় আপনি কি বার্ষিক ৩০ লাখ টাকা বেতনে কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে সিঙারা (Samosa) বিক্রি করবেন? তবে কিছু মানুষ আছে, যারা এ ধরনের কাজ করে যাচ্ছেন এবং সফলও হচ্ছেন। নিধি সিং এবং তার স্বামী শিখর বীর সিংয়ের গল্পও একই রকম।
এই দম্পতি তাদের লাভজনক চাকরি ছেড়ে সিঙারা তৈরির ব্যবসা (Samosa making business) শুরু করেন। এখন এই দম্পতি প্রতিদিন সিঙারা (Samosa) বিক্রি করে প্রায় ১২ লাখ টাকা আয় করেন। তবে এর জন্য তিনি বড় ঝুঁকি নিয়েছিলেন। জেনে নেওয়া যাক আরতি সিং এবং বীর সিংয়ের মজার গল্প-
নিধি সিং এবং তার স্বামী শিখর বীর সিং হরিয়ানার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বায়োটেকনোলজিতে B.Tech করেছেন। এর পর নিধি গুরুগ্রামের একটি কর্পোরেট হাউসে চাকরি শুরু করেন। শিখর বীর সিং হায়দ্রাবাদের ইনস্টিটিউট অফ লাইফ সায়েন্সেস থেকে এমটেক করেন। এর পরে ২০১৫ সাল আসে, যখন এই দম্পতি তাদের চাকরি ছেড়ে দেন। সেই সময়ে, শিখর বীর সিং বায়োকনের প্রধান বিজ্ঞানী ছিলেন এবং নিধির বেতন ছিল বার্ষিক ৩০ লক্ষ টাকা।
এক বছর পরে, ২০১৬ সালে, তিনি বেঙ্গালুরুতে তার সঞ্চয় থেকে সামোসা সিং নামে একটি স্টার্টআপ শুরু করেন। সামোসা সিং শুরু করলেও শীঘ্রই একটি বড় রান্নাঘরের প্রয়োজন অনুভূত হয়। যার জন্য এই দম্পতিকে তাদের অ্যাপার্টমেন্ট ৮০ লাখে বিক্রি করতে হয়। একটা বড় অর্ডারের জন্য তার টাকার দরকার পরে। যার জন্য তিনি ফ্ল্যাট বিক্রি করাই সঠিক মনে করেন। এই টাকা দিয়ে দুজনেই বেঙ্গালুরুতে ভাড়ায় কারখানা নেন।
ব্যবসা বাড়াতে ফ্ল্যাট বিক্রি করে ভাড়ায় কারখানা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল একেবারেই ঠিক। এ কারণে ব্যবসা বেড়ে যায় বহুগুণ। এখন এই জুটি প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার সিঙারা বিক্রি করে। তাদের বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।
সমোসা বিক্রির প্রাথমিক ধারণা শিখর বীর সিং-এর। কলেজে পড়ার সময়ই এই ধারণা পেয়েছিলেন তিনি। এসবিআই ব্যাঙ্কের সামনে সিঙারা বিক্রি করতে চেয়েছিলেন তিনি। নিধিই তাকে বিজ্ঞানী হওয়ার দিকে মনোনিবেশ করতে বলেছিলেন।
নিধি সিংয়ের কারণেই সামোসা সিং-এর গল্প শুরু হয়। একদিন তিনি ফুড কোর্টে একটি ছেলেকে খাবার খাওয়ার জন্য কাঁদতে দেখেন। তারা বুঝলেন, এদেশে বোধহয় সিঙারার চেয়ে জনপ্রিয় আর কিছু নেই। চাকরি ছেড়ে বেঙ্গালুরুর পথ ধরলেন তিনি। সেখানে গিয়ে সামোসা সিং নামে ব্যবসা শুরু করেন।