আনন্দ আর উত্তেজনা নিয়ে বিদেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিমানে চেপে বসেছেন। অথচ বিমানবন্দরে অবতরণের পর জানতে পারলেন, আপনি পৌঁছাতে পারলেও আপনার প্রয়োজনীয় মালামাল, পোশাক-আশাক আর নথিপত্রে ঠাসা লাগেজটি এখনও এসে পৌঁছায়নি!
অচেনা বিদেশ-বিভূঁইয়ে এটি যে কতটা বিড়ম্বনার তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন! দেশ-বিদেশের বিমানবন্দরগুলোতে হরহামেশাই ঘটছে যাত্রীদের লাগেজ হারানোর ঘটনা। কিন্তু একটি বিমানবন্দর রয়েছে যেখান থেকে গত ৩০ বছরে একজন যাত্রীরও লাগেজ খোয়া যায়নি!
জাপানে অবস্থিত এই বিমানবন্দরের নাম কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি জাপানের সপ্তম ব্যস্ততম বিমানবন্দর। এ ছাড়া ২০২৪ সালে বিশ্বের সেরা বিমানবন্দরের তালিকায় ১৮তম স্থানে রয়েছে এটি।
লাগেজ ডেলিভারির পাশাপাশি খাবার ও পানীয় সরবরাহ, অ্যারাইভাল এবং ডিপারচারের সময় মেনে চলা, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি বিষয়ও এখানে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দাবি করে, ১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বরে উদ্বোধনের পর থেকে আজ পর্যন্ত এখান থেকে কোনও যাত্রীর লাগেজ হারায়নি। প্রতি বছর গড়ে ২-৩ কোটি যাত্রী এই বিমানবন্দরে আসেন।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক এভিয়েশন র্যাঙ্কিং এবং রেটিং ওয়েবসাইট স্কাইট্র্যাকস চলতি বছরের এপ্রিলে জাপানের কানসাই বিমানবন্দরকে বিশ্বের সেরা ব্যাগেজ ডেলিভারি সিস্টেমের জন্য স্বীকৃতি দিয়েছে।
তবে বিমানবন্দরে নিয়োজিত কর্মীরা এমন স্বীকৃতিকে ‘বিশেষ’ মনে করেন না। কানসাইয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কেনজি তাকানিশি বলেন, ‘আমার মনে হয় না এটা বিশেষ কিছু। এটি আমাদের প্রতিদিনের কাজ এবং এতেই আমাদের পরিচয়। আমরা পুরস্কার পেয়ে খুশি। আমরা মনে করি যে আমাদের কর্মীরা, বিশেষ করে যারা গ্রাউন্ড স্টাফ, তাঁরা অনেক বেশি আনন্দিত।’
কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি জাপানের ওসাকা উপসাগরের একটি কৃত্রিম দ্বীপে নির্মাণ করা হয়েছে, যা মূলত ওসাকা, কিয়োটো এবং কোবে অঞ্চলে পরিষেবা দিয়ে থাকে। প্রতিটি এয়ারলাইনের জন্য লাগেজ পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের রয়েছে বিস্তারিত নির্দেশিকা। কর্মীদের অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শের উপর ভিত্তি করে এই নির্দেশিকাটি নিয়মিত হালনাগাদ করা হয়।
তথ্যসূত্র: সিএনএন, হিন্দুস্তান টাইমস