শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন

২০৩০ সালের মধ্যে ৭০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ

  • আপডেট সময় শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪

ব্যবসায়িক পরিমণ্ডল দ্বিগুণ করতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ। পুরনো বোয়িং ৭৭৭ মডেলের উড়োজাহাজ সংস্কার, নতুন উড়োজাহাজ ক্রয় ও পরিষেবার হালনাগাদ করতে এ অর্থ খরচ করবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) এয়ারলাইনস সংস্থাটি। এসব তথ্য জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আন্তোনোয়ালদো নেভেস। খবর দ্য ন্যাশনাল।

বুধবার আবুধাবিতে গ্লোবাল অ্যারোস্পেস সামিটে আন্তোনোয়ালদো নেভেস বলেন, ‘‌২০২৬ সাল থেকে পুরনো প্রশস্ত দেহী বোয়িং ৭৭৭ মডেলের উড়োজাহাজগুলো সংস্কার করা হবে। কারণ বোয়িং থেকে নতুন উড়োজাহাজ কিনতে দুই-তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে। ইতিহাদের ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, সংস্থাটির বহরে নয়টি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে আমরা ৭০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছি। আনন্দের বিষয় এ অর্থ নিজেদের ব্যবসা থেকেই বিনিয়োগ করা হবে। এজন্য বাইরের কোনো বিনিয়োগকারীর সাহায্যের দরকার হবে না।’

শেয়ার বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত করা হবে কিনা প্রশ্নে নেভেস বলেন, এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেবে শেয়ারহোল্ডার আবুধাবিভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এডিকিউ। এডিকিউ কোম্পানির শেয়ার তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিলে ব্যবস্থাপনা কমিটি ‘কঠোর পরিশ্রম’ করবে।

তিনি আরো বলেন, ‘তালিকাভুক্ত হওয়া বেশ জরুরি। কারণ এখন হয়তো বাইরের বিনিয়োগের প্রয়োজন হচ্ছে না। কিন্তু ভবিষ্যতে আমরা যদি ব্যবসার পরিসর আরো বাড়াতে চাই, তখন অবশ্যই পুঁজির দরকার হবে। বিভিন্ন উৎস থেকে পুঁজি সংগ্রহের যোগ্যতা অর্জন আমাদের উন্নতির জন্য জরুরি।’

ইতিহাদ এয়ারওয়েজ চলতি বছরের প্রথমার্ধে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৮ শতাংশ নিট আয় অর্জন করেছে। ফলে সংস্থাটি টানা তিন বছর বার্ষিক মুনাফা অর্জনের পথে রয়েছে। এয়ারলাইনসটি জানায়, জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত কর-পরবর্তী মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ কোটি ১০ লাখ দিরহাম (২৩ কোটি ২০ লাখ ডলার), যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৫৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বছরের প্রথম আট মাসে ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছে, যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ৮৯ লাখ। এ সময়ে গড়ে প্রতিটি ফ্লাইটের ৮৬ শতাংশ সিট ভর্তি ছিল।

নেভেস বলেন, ‘চলতি মাসের কয়েক দিনে ইতিহাদের পরিচালিত ফ্লাইটের ৯০-৯২ শতাংশ সিট ভর্তি ছিল। যার অর্থ প্রতিটি ফ্লাইট প্রায় পুরোপুরি পূর্ণ ছিল।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com