কোটা নির্ধারণের কারণে গ্রিক নিয়োগকর্তারা চাইলেও এই সংখ্যার বেশি অভিবাসীকে চলতি বছর আমন্ত্রণ জানাতে পারবে না। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের শেষে অনুষ্টিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সংখ্যার অনুমোদন দেওয়া হয়।
যদিও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো বিদেশি কর্মীদের আনার প্রক্রিয়া দ্রুত এবং সহজ করার লক্ষ্যে বর্তমান প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনার কথা বলে আসছে।
কারণ নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে তাদের চাহিদা পূরণের জন্য উল্লেখযোগ্য চাপ রয়েছে, প্রধানত কৃষি, পর্যটন এবং নির্মাণের মতো ক্ষেত্রে গ্রিসে চলছে গুরুতর কর্মী ঘাটতি।
মোট ৮৯ হাজার ২৯০ জনের মধ্যে অদক্ষ কৃষি শ্রমিক, নির্মাতা, মেশিন অপারেটর, কারখানার শ্রমিক, অফিস কর্মচারীর মতো পদগুলোর জন্য অর্ধেকেরও বেশি কোটা রাখা হয়েছে।
অপরদিকে, ৪৫ হাজার ৬৭০ পদ মৌসুমী কাজ বা সিজনাল ভিসার জন্য জন্য নির্ধারিত।
এর আগে প্রাথমিকভাবে ২০২৩-২৪ সময়কালের জন্য এক লাখ ৪৭ হাজার ৯২৫ জন অভিবাসী আনার কোটা নির্ধারণ করেছিল গ্রিক সরকার। মূলত কৃষি, নির্মাণ, পর্যটন এবং খাদ্য খাতে নিয়োগকর্তাদের চাহিদা পূরণের জন্য তৃতীয় দেশ থেকে অতিরিক্ত কর্মী আনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
২০২৫ সালের জন্য প্রকাশিত গ্যাজেটে বলা হয়েছে, সিজনাল ভিসায় ৪৫,৬৭০ জন, উচ্চ দক্ষ কর্মসংস্থানের জন্য দুই হাজার, নির্ভরশীল কর্মসংস্থান বা স্পন্সর ভিসার জন্য ৪১,৬৭০ জন কর্মী আনতে পারবে নিয়োগকর্তারা।
নির্ভরশীল কর্মসংস্থানের আওতায় অদক্ষ কৃষি, পশুপালন, বন এবং মৎস্য শ্রমিকদের শূন্যস্থান পূরণের জন্য ডাকা যাবে।
অফিস কর্মী হিসেবে চাকরির সংখ্যা পাঁচ হাজার। এই শ্রেণীর কর্মীরা এমন দেশীয় কোম্পানিগুলোতে নিযুক্ত হবেন যারা চুক্তিবদ্ধ এবং বিদেশি কোম্পানির শাখা হিসেবে কাজ করে। এসব কোম্পানি মূলত পণ্যের প্রচার এবং কারিগরি সহায়তা প্রদানের কাজ করে।
গ্যাজেটে বলা হয়েছে, মোট সংখ্যার মধ্যে প্রায় নয় হাজার কর্মী গ্রিসের সাথে হওয়া দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ও মিশর ঠেকে আসবে। কৃষি, বন, মৎস্য এবং পর্যটন খাতে চার হাজার কর্মীর শূন্যপদ বাংলাদেশ থেকে আগত কর্মীদের মাধ্যমে পূরণ করার পরিকল্পনা করেছে এথেন্স।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের সাথে সই হওয়া চুক্তিটি কার্যকর হয়েছে।
এছাড়া কৃষি খাতে মৌসুমী কর্মসংস্থান সম্পর্কিত অবশিষ্ট পাঁচ হাজার শূন্যপদ মিশর ঠেকে আসা কর্মীদের দিউয়ে পূরণ করা হবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছ গ্রিসের স্তাহে মিশরের সাথে হওয়া অভিবাসন চুক্তি।
এথেন্স-ঢাকা সমঝোতা স্মারক চুক্তির আওতায় নতুন করে কর্মী আনা ছাড়াও গত বছর গ্রিসে বৈধতা পেয়েছেন তিন হাজার ৪০৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। তারা দেশটিতে অনিয়মিত অবস্থায় ছিলেন দেশটির আশ্রয় ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত বছর ইনফোমাইগ্রেন্টসকে এ তথ্য জানিয়েছিল।
চুক্তির আওতায় ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে অনিয়মিতভাবে থাকা বাংলাদেশিদের নিয়মিত হতে আবেদন করার সুযোগ দেয় গ্রিস৷ গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তির আওতায় আবেদনের প্রক্রিয়া শশেষ হয়।