নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে গত বছরটা পার করলেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, সম্পদও হারিয়েছেন ১ হাজার কোটি ডলার, কিন্তু তারপরও বিশ্বের শীর্ষ ধনী তিনি। ব্লুমবার্গ মিলিয়নিয়ার ইনডেক্সে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি বিশ্বের শীর্ষ ধনী ছিলেন। সেদিন তাঁর সম্পদ ছিল ১১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।
যদিও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁর চেয়ে খুব বেশি পেছনে নেই। মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ১১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন। ব্লুমবার্গের তালিকায় শীর্ষ তিন ধনীর সম্পদ ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ডলারের ওপরে। এঁরা হচ্ছেন জেফ বেজোস, মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও ফরাসি ব্যবসায়ী বারনার্ড আর্নল্ট।
বেজোসের বিবাহবিচ্ছেদ ও শেয়ারের দাম কমে যাওয়ার কারণে অনেকেই ধারণা করেছিলেন, বেজোস শীর্ষ স্থান হারাবেন। বিশেষ করে বিবাহবিচ্ছেদের কারণে বেজোসের বিপুল সম্পদ হাতছাড়া হয়েছে। মূলত কোম্পানিতে তাঁদের দুজনের যৌথ শেয়ার ছিল। এর ৭৫ ভাগ ছিল জেফ বেজোসের। বাকিটা তাঁর সাবেক স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি বেজোসের।
এই শেয়ারের পাশাপাশি ম্যাকেঞ্জি আমাজনের ৪ শতাংশ হিস্যাও পেয়েছেন। ফলে সব মিলিয়ে বিবাহবিচ্ছেদ বাবদ ম্যাকেঞ্জি পেয়েছেন ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। ম্যাকেঞ্জি এখন বিশ্বের ২৫তম ধনী। তবে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে জেফ বেজোস কিছুদিনের জন্য শীর্ষ স্থান হারিয়েছিলেন।
তখন আমাজনের শেয়ারের দাম ২৮ শতাংশ পড়ে যায় এবং মাইক্রোসফটের শেয়ারের দাম ৪৮ শতাংশ বাড়ে। এদিকে শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় পরিচিত মুখেরাই আছেন। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছেন যথাক্রমে ওয়ারেন বাফেট ও মার্ক জাকারবার্গ। এবার জাকারবার্গের সম্পদ বেড়েছে ২ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার।
সিএনএন