পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই রয়েছে ঘুরে দেখার মতো অসংখ্য সুন্দর স্থান, নিজস্ব সংস্কৃতি, কৃষ্টি। তবে কিছু কিছু দেশের ভৌগলিক অবস্থান, জীবনযাত্রার মান এবং সরকারি ব্যবস্থাপনার কারণে সেগুলো হয়ে উঠেছে পর্যটকদের তীর্থস্থান।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় হানিমুন গন্তব্য দেশগুলোর মধ্যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে মালদ্বীপ। হ্যাশট্যাগের অধীনে ৩.৫ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে দেশটি। মালদ্বীপের সুরমা সাদা বালুকাময় সৈকত এবং ফিরোজা লেগুনগুলো সর্বদা সারা বিশ্বের পর্যটকদের জন্য একটি লোভনীয় গন্তব্য হয়েছে।
মালদ্বীপ সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ট্র্যাভেল অ্যাওয়ার্ডেও বেশ কয়েকটি পুরস্কার জিতেছে। ২০২১ থেকে শুরু করে ২০২৩ পর্যন্ত মালদ্বীপ টানা তৃতীয়বারের মতো ওয়ার্ল্ড ট্র্যাভেল অ্যাওয়ার্ডে ‘ওয়ার্ল্ডস লিডিং ডেস্টিনেশন’ খেতাব জিতেছে।
মালদ্বীপে একদিনে একটি রিসোর্টে থাকতে ১০০ থেকে ১৫০ ডলার খরচ হয়। ভালো রিসোর্টে থাকতে প্রতিদিন খরচ ২০০ থেকে ৩০০ ডলার। পাঁচতারকা রিসোর্টে ৭০০ থেকে ৮০০ ডলারও প্রয়োজন পড়ে। বিলাসবহুল রিসোর্টে খরচ আরও বেশি। তারপরও অনেক পর্যটক আসছেন দ্বীপদেশটিতে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন, পর্যটকের সেবার মানে কোনো আপস নেই মালদ্বীপে। হোটেল-রেস্টুরেস্টে খাবার জীবাণুমুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক। সরকারি খাবার পরিদর্শকেরা সবকিছু তদারক করেন। মেয়াদহীন কিংবা খারাপ কিছু পেলে প্রথমে তারা সতর্ক করেন। কোনো উন্নতি না হলে ব্যবসা বন্ধ করে আদালতে মামলা দেন সরকারি সংস্থাগুলো।
মালদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রণালয় বলছে, ১১ মার্চ পর্যন্ত ৪ লাখেরও বেশি পর্যটক দেশটি ভ্রমণ করেছেন। মালদ্বীপ পর্যটন মন্ত্রণালয়ে লক্ষ্য, প্রতি মাসে গড়ে এক লাখ পর্যটক আসা। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, বর্তমানে মালদ্বীপে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসছেন রাশিয়া থেকে। এরপর রয়েছে ভারত, যদিও গত বছর শীর্ষ ছিল ভারত।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জানুয়ারিতে ১ লাখ ৭২ হাজার ৪৯৯ পর্যটক এবং ফেব্রুয়ারিতে, ১ লাখ ৭৭ হাজার ৯১৪ জন পর্যটক দেশটি ভ্রমণ করে। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দ্বীপ দেশ মালদ্বীপে পর্যটকদের জন্য রয়েছে ১৬৮টি রিসোর্ট, ৮৯১টি গেস্টহাউস, ১৫৩টি সাফারি এবং ১৩টি হোটেল রয়েছে। এসব জায়গায় বর্তমানে একসঙ্গে ৬০ হাজার ২৩৬ জন পর্যটক রয়েছে। মালদ্বীপে থাকার সুবিধা রয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ছয় হাজারেরও বেশি পর্যটক মালদ্বীপ ভ্রমণ করে।