রাশিয়ার তৈরি সবচেয়ে বড় যুদ্ধ জাহাজ ছিলো মস্কাভা। যা ইউক্রেনের মিসাইলের আঘাতে ধ্বংস হয়ে যায়। যদিও রাশিয়া এটা শিকার করেনি কখনোই। তবে এবার সবাইকে চমকে দিয়ে মস্কাভার চেয়েও বড় যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধে নামছে মাস্টারমাইন্ড পুতিন।
স্যাটেলাইটের ছবিতে সেই জাহাজের দানাবাকৃতি দেখে ইতিমধ্যে রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে ইউরোপীয় দেশগুলোর। জাহাজটির নাম ইভান রোগোভ ক্লাস অ্যাস্ফিবিয়াস অ্যাসল্ট শিপ। যা মস্কাভার চেয়েও আধুনিক আর বড়। এটি তৈরি করা হচ্ছে রাশিয়াকর্তৃক দখলকৃত ক্রিমিয়ার কার্চ এলাকায়। ইউক্রেনের ডিফেন্স এক্সপ্রেসের তথ্যমতে, মস্কাভার দৈর্ঘ্য যেখানে ছিলো ১৮৬ মিটার সেখানে নতুন দানাবাকৃতির এই যুদ্ধ জাহাজের দৈর্ঘ্য ২২০ মিটার। আর ওজনেও রয়েছে আকাশ পাতাল ফারাক, মস্কভার ওজন ১১ হাজার টন হলেও এই দানবাকৃতির জাহাজের ওজন ৩০ হাজার টন।
শুধু এসবই নয় চমকপ্রদ তথ্য হলো এই যুদ্ধ জাহাজটিতে একসাথে বহন করা যাবে ১৫টি হেলিকপ্টার, ৯০ সামরিক যান এর সাথে ৯০০ জন সেনা। ভাবা যায়? এ যেনো পুরোদস্তুর এক সেনাঘাঁটি। জানা যায়, বিশাল এই যুদ্ধ জাহাজটির নির্মাণ শুরু হয় ২০২০ সালে। তবে এতদিন এটির নির্মাণ কাজের গতি ছিলো ধীর, বর্তমানে গতি বেড়েছে কাজের। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এটি নির্মাণ করে যেনো ইউরোপীয় দেশগুলোকে এক রকমের হুংকারই দিয়ে রাখলেন।
যদিও ২০২৭ সালের আগে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। এদিকে টিম হোয়াইট নামের ইউক্রেনীয় এক সাংবাদিক ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকে পরামর্শ দিয়েছেন, জাহাজটি যে অঞ্চলে তৈরি হচ্ছে সেখানে হামলা চালাতে। তার মতে জাহাজটি যেহেতু এখনো নির্মাণাধীন তাই এখনি কার্চ অঞ্চলে হামলা চালালে এটির নির্মাণ পুরোপুরি শেষ করার আগেই ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব হবে। অন্যদিকে এই জাহাজটিকে ইউরোপীয় অনেক প্রভাবশালী নেতারা ইতিমধ্যে ইউরোপের জন্য হুমকি হিসেবেই উল্লেখ করেছেন।