বিখ্যাত ভবিষ্যদ্বক্তা স্মার্টফোন আবিষ্কারের অনেক আগেই এমন এক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যা আজ সত্য বলে প্রমাণিত। ১৯১১ সালের ৩১ জানুয়ারি বুলগেরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন বাবা ভাঙা। ছোটবেলায় ঝড়ে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেললেও, তার অন্তর্দৃষ্টি তাকে ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতা দিয়েছিল। তার করা অনেক ভবিষ্যদ্বাণীর মধ্যে স্মার্টফোন আবিষ্কার নিয়ে একটি বিশেষ ভবিষ্যদ্বাণী আজও বিস্ময় জাগায়।

স্মার্টফোন আবিষ্কারের বহু আগেই ভবিষ্যদ্বাণী
বাবা ভাঙার অনুসারীরা মনে করেন, তিনি এমন অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ২০০৪ সালের সুনামি ও ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পূর্বাভাসের মতোই তিনি বলেছিলেন, ২০২২ সালের পর মানুষ স্মার্টফোনে বেশি সময় ব্যয় করবে। সেই সময় স্মার্টফোন আবিষ্কার হয়নি, অথচ তিনি মানুষের স্ক্রিনের প্রতি আসক্তির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।

বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনের প্রভাব
আজকের দিনে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও টিভি স্ক্রিনে ডুবে আছে। ভারতের জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের একটি রিপোর্ট বলছে, ২৪% শিশু ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্মার্টফোন দেখে এবং ৩৭% শিশু অতিরিক্ত স্ক্রিনটাইমের কারণে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে না। এই চিত্রটি প্রমাণ করে যে, স্মার্টফোন আবিষ্কারের অনেক আগে বাবা ভাঙার ভবিষ্যদ্বাণী ছিল যথার্থ।

ভবিষ্যতের আশঙ্কা
বাবা ভাঙার ভবিষ্যদ্বাণীতে এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যা আজও গবেষণার বিষয়। তিনি দাবি করেছিলেন, ২০২৫ সালে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে। এছাড়াও, ২০৪৩ সালে ইউরোপে ইসলাম শাসন প্রতিষ্ঠার কথাও বলেছিলেন তিনি।

বাবা ভাঙার স্মার্টফোন আবিষ্কার সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বাণী আজকের প্রযুক্তিনির্ভর সমাজে আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। স্ক্রিনটাইম বৃদ্ধির বাস্তব চিত্র তার কথাকে সত্য প্রমাণ করে। স্মার্টফোন আবিষ্কার নিয়ে তার পূর্বাভাস এখন বাস্তবতার সঙ্গে মিলে যাওয়ায় এই বিষয়টি আরও গুরুত্ব পাচ্ছে।