যুক্তরাষ্ট্রে অনেকেই স্ট্যাটাস অ্যাডজাস্ট করেন। বাইডেন প্রশাসনের সময় স্বামী বা স্ত্রী কারও স্ট্যাটাস অ্যাডজাস্ট করার জন্য আবেদন করা হলে ইন্টারভিউ নেওয়া হতো না। সবকিছুতে কোয়ালিফাই করলে ইন্টারভিউ ছাড়াই গ্রিনকার্ড দেওয়া হতো। এখন আর সেই নিয়ম চালু নেই। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, স্বামী কিংবা স্ত্রী তার স্পাউসের জন্য আবেদন করলে তারা যদি যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে থেকে স্ট্যাটাস অ্যাডজাস্ট করতে চান, তাহলে তাদেরকে সরাসরি ইন্টারভিউয়ের মুখোমুখি হতে হবে।
এ জন্য আবেদনকারী আই-১৩০ ফর্ম পূরণ করেন এবং যার জন্য আবেদন করা হয় তার জন্য আই-৪৮৫ ফর্ম পূরণ করা হয়। এই দুটি ফর্ম পূরণ করার পর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ব্যাকগ্রাউন্ড চেক, মেডিকেল রিপোর্ট, ডকুমেন্টারি কোয়ালিফাইড সবকিছু হওয়ার পর ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়। সেই ইন্টারভিউতে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে একসঙ্গে যেতে হবে। ইন্টারভিউতে পাস করলে কেস অ্যাপ্রুভড হবে। পাস না করলে ডিনাই হবে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রীর কথাবার্তায় মিল থাকে না। তখন সন্দেহ হতে পারে। সন্দেহ হলে ইন্টারভিউ হবে আলাদা।
এই ইন্টারভিউতে দুজনকেই একই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। একই প্রশ্নের উত্তর দুজন একই দেন কি না তা দেখা হয়। যারা প্রকৃত স্বামী-স্ত্রী, তারা একটি প্রশ্নের একই উত্তর দেবেন। বোনাফাইড ম্যারেজ না হলে অনেক ক্ষেত্রেই অমিল থাকতে পারে। দেখা যাবে দুজন দুই রকম কথা বলছেন। এমন হলে কেস ডিনাই হওয়ার শঙ্কাই বেশি।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি খায়রুল বাশার বলেন, যারা অন্য দেশ থেকে তার স্পাউসকে আনার জন্য আবেদন করেন, তাদের বিষয়টি ভিন্ন। কারণ সেখান থেকে আনার জন্য কনস্যুলার প্রসেস করেই আসতে হয়। এর আগে সব ধরনের ডকুমেন্টারি কোয়ালিফাই করতে হয়। সেখানে নিজস্ব সোর্সের সব ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করে। ফলে সেখানে এ ধরনের সমস্যা কমই হয়। এ দেশে থেকে স্পাউসের স্ট্যাটাস অ্যাডজাস্ট করতে চাইলে এখানে আবেদন করতে হবে।
যারা প্রকৃত স্বামী-স্ত্রী, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ তাদের ব্যাংক হিসাব, ট্যাক্স ফাইল, ইন্স্যুরেন্স কার্ড, ভাড়া বাসায় থাকলে এর লিজ, বাড়ি বা বাসা থাকলে এর মালিকানাসহ সবকিছুই যৌথ নামে হতে পারে। সেটাই স্বাভাবিক। এ কারণে ইন্টারভিউতে যখন তারা যাবেন, সেখানে তারা যৌথ নামে যত ডকুমেন্ট আছে, সেগুলো সব নিয়ে যাবেন। সরকারি নথিপত্রে সবকিছুই একই ঠিকানা, যৌথ নামে থাকলে কোনো সমস্যা নেই। তবে সত্যিকারের বিয়ে না হলে দুই ধরনের কথা বলতে পারে। তখনই সন্দেহ হবে। তাই যারা ইন্টারভিউতে যাবেন, তারা যা সত্য সেটাই বলবেন। মিথ্যা বললে বিপদে পড়তে পারেন। দুজনের কথায় অমিল থাকলে কেস ডিনাইও হতে পারে।
Like this:
Like Loading...