স্ত্রীকে ভীষণ ভালোবাসেন ৪৭ বছর বয়সী নারেন। তবে থাইল্যান্ডবাসী নারেনের স্ত্রীর মনে ছিল অনেক বড় পরিকল্পনা। লটারিতে এক কোটি ২০ লাখ থাই বাত জিতেছিলেন নারেনের স্ত্রী। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় তিন কোটি ৭৩ লাখ টাকা। তবে সে কথা একেবারেই নারেনকে জানতে দেননি তিনি। শুধু তা-ই নয়, লটারি জিতেই নারেনের স্ত্রী পালিয়ে বিয়ে করেন অন্য আরেকজনকে।
বছর ২০ আগে চাউইওয়ানকে বিয়ে করেন নারেন। দম্পতির তিনটি মেয়েও আছে। স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর নারেন চাউইওয়ানের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।
চাউইওয়ান পুলিশকে জানিয়েছেন, লটারি জেতার অনেক আগেই নারেনের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, তার পরই তিনি এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বিয়ে করেন। অন্যদিকে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি বলে নারেন পুলিশকে জানিয়েছেন।
পুলিশকে নারেন বলেছেন, ‘আমাদের ওপর অনেক বেশি ঋণের বোঝা ছিল। তাই আমি ২০১৪ সালে সপরিবারে দক্ষিণ কোরিয়া চলে যাই। কয়েক বছর পর আমার স্ত্রী আবার বাচ্চাদের নিয়ে থাইল্যান্ডে ফিরে যান। আমি প্রতি মাসে স্ত্রীকে সংসার খরচের জন্য ৩০ হাজার বাত পাঠাতাম। একদিন মেয়ের কাছ থেকে আমি জানতে পারি, চাউইওয়ান বড় অঙ্কের লটারি জিতেছে। তবে আমাকে তা জানায়নি ও। আমি ওর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ও আমার সঙ্গে কথা বলত না। ৩ মার্চ আমি থাইল্যান্ডে ফিরি। তখন জানতে পারি ও আবার বিয়ে করেছে। আমি বিষয়টি জেনে খুবই হতাশ হয়ে পড়ি। আমার ব্যাংকে মাত্র ৬০ হাজার বাত আছে। আমি প্রতি মাসে সংসার খরচ দিতাম। আমি এখন বিচার চাই। আমার প্রাপ্য টাকা ফেরত চাই।’
এ ছাড়া চাউইওয়ান নারেনের বিরুদ্ধে পাল্টা মানহানির মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানা গেছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা