শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন

স্বপ্ন আর ভালবাসায় গড়া হুমায়ূন আহমেদের ‘নুহাশ পল্লী’

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩

মানুষ এ পৃথিবীতে চিরস্থায়ী নয় কিন্তু তার সৃষ্টি কর্ম চিরস্থায়ী। সে থাক আর না থাক তার রেখে যাওয়া সৃষ্টিকর্ম যুগ যুগ ধরে তাকে বাঁচিয়ে রাখে। হুমায়ুন আহমেদ,দেশের বরণ্য কথাশিল্পি। সাহিত্য দিয়ে মন জয় করেছেন বাঙ্গালীদের মন। তাকে নতুন করে পরিচয় করে দেয়ার কিছু নেই। তারই স্বপ্ন আর ভালবাসায় গড় নুহাশ পল্লী। ঢাকার অদূরে গাজীপুরে প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রাকৃতিক নৈসর্গ নুহাশ পল্লী। পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র ও শুটিংস্পট হিসেবে এটি বেশ পরিচিত।

গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে হোতাপাড়া বাজার। সেখান থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে পিরুজালী গ্রামে অবস্থিত নুহাশপল্লী। ১৯৯৭ সালে হুমায়ূন আহমেদ নুহাশ পল্লী গড়ে তোলেন। মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে ৪০ বিঘার এ বাগান বাড়িতে ফল, কাঠ ও ভেষজ গুণাবলীর কয়েকশ` প্রজাতির গাছ রয়েছে। নুহাশ পল্লীর মূল ফটক পেরোলেই চোখে পড়বে সবুজ ঘাসের গালিচা। যা দেখলে যে কারো চোখ ও মন দুই জুড়িয়ে যাবে।

হুমায়ূন আহমেদ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৪০ বিঘা জায়গা নিয়ে তৈরি করেছেন ‘নুহাশ পাল্লী’। এখানে ২৫০ প্রজাতির দূর্লভ ঔষধি, মসলা জাতীয়, ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছের গায়ে সেটে দেয়া আছে পরিচিতি ফলক, যা দেখে গাছ চেনা যাবে সহজেই। সবুজ মাঠের মাঝখানে একটি বড় গাছের উপর ছোট ছোট ঘর তৈরি করা হয়েছে।

 

শুটিং এর জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি ঘরগুলো আবাক করবে আপনাকে। হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত প্রায় সকল নাটক সিনেমার অন্যতম শুটিং স্পট এটি। উদ্যানের পূর্ব দিকে রয়েছে খেজুর বাগান। বাগনের এক পাশে “বৃষ্টি বিলাস” নমে অত্যাধুনিক একটি বাড়ি রয়েছে।

নুহাশ পল্লীর আরেক আকর্ষণ “লীলাবতী দীঘি”। দীঘির চারপাশ জুড়ে নানা রকমের গাছ। রয়েছে সানকাধানো ঘাট। পুকুরের মাঝখানে একটি দ্বীপ। সেখানে অনেকগুলো নরিকেল গাছ।
এছাড়া এখানে দেখা মিলবে হুমায়ূন আহমেদের আবক্ষ মূর্তি ও সমাধিস্থল, পদ্মপুকুর, সরোবরে পাথরের মৎসকন্যা, প্রাগৈতিহাসিক প্রানীদের অনুকীর্তি, অর্গানিক ফর্মে ডিজাইন করা অ্যাবড়োথেবড়ো সুইমিং পুল, দাবার গুটির প্রতিকৃতি, টি-হাউসসহ নানা রকম দৃষ্টিনন্দন সব স্থাপত্য।
হুমায়ূন আহমেদ শৈল্পিক চিন্তা দিয়ে এখানে তৈরি করেছেন স্যুটিং স্পট ও পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র। ভূত বিলাস, বৃষ্টিবিলাসসহ তিনটি বাংলো রয়েছে এই বাগানবাড়িটিতে।

 

কিভাবে যাবেন?

গুলিস্তান থেকে প্রভাতী-বনশ্রী বাসে হোতাপাড়া বাজারে নেমে সেখান থেকে ছোট টেম্পুতে করে পৌঁছে যেতে পারবেন নুহাশ পল্লীতে। এছাড়া নিজস্ব গাড়িতে করে নুহাশ পল্লীতে যেতে পারেন।

নুহাশ পল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত নুহাশ পল্লী সকল দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন খোলা থাকে। ১২ বছরের উপরে জনপ্রতি টিকেট লাগবে ২০০ টাকা। কিন্তু নভেম্বর থেকে মার্চ মূলত পিকনিকের জন্য ভাড়া দেয়া হয়। প্রতিদিন পিকনিকের জন্য ১টি গ্রুপে সর্বোচ্চ ৩০০ জন আসতে পারবে। সরকারি ছুটির দিনে পিকনিকের জন্য গুনতে হবে ৬০ হাজার টাকা, অন্যদিন ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া সরকারি ছুটির দিনে পিকনিকের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাড়া পড়বে ৫০ হাজার টাকা, অন্যদিনগুলোতে ভাড়ার জন্য গুনতে হবে ৪০ হাজার টাকা।

যোগাযোগের ঠিকানা

সাইফুল ইসলাম বুলবুল, ব্যবস্থাপক, নুহাশ পল্লী।
মোবাইল: ০১৭১২০৬০৯৭১ ০১৭৩৮৭০৪০১০
ঢাকা অফিস: পাপন খাঁন, ০১৭২২৪৩৭৮৮৩

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com